‘যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে প্রস্তুত রাশিয়া’

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:২৯ | আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ার করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার কাছাকাছি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার বোকামি করলে রাশিয়া আবার ‘কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের’ জন্য তৈরি। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

বুধবার মস্কোয় রাশিয়ার ফেডারেল অ্যাসেমব্লিতে শীর্ষ রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বক্তৃতায় পুতিন এসব কথা বলেন।

১৯৬২ সালে সোভিয়েত ক্ষেপণাস্ত্র কিউবায় মোতায়েন করে। তুরস্কে মার্কিন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কিউবায় একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। পাল্টাপাল্টি এ পদক্ষেপে বিশ্ব একটি পারমাণবিক যুদ্ধের প্রান্তে চলে গিয়েছিল। এ ঘটনা ‘কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট’ নামে ইতিহাস খ্যাত হয়ে আছে।

৫০ বছর পর এই উত্তেজনা আবার দেখা দিয়েছে। রাশিয়ার আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইউরোপে মোতায়েন করবে।

রাশিয়া সংঘাত চায় না এবং শীতল যুদ্ধকালীন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে চলতি মাসে ওয়াশিংটনের বের হয়ে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পদক্ষেপ আগেই নিবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

নতুনভাবে শুরু হতে যাওয়া সম্ভাব্য অস্ত্র প্রতিযোগিতার বিষয়ে সবচেয়ে কঠোর মন্তব্যে পুতিন বলেছেন, মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের প্রতিক্রিয়া ‘স্থিরসংকল্পের’ হবে এবং কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে মার্কিন নীতিনির্ধারকদের ঝুঁকি হিসাব করা উচিত হবে।  

তিনি বলেন, ‘তারা কীভাবে চান তা চিন্তার অধিকার তাদের আছে। কিন্তু তারা হিসাব করতে পারবেন? আমি নিশ্চিত তারা পারবেন। আমরা যে অস্ত্র ব্যবস্থা তৈরি করছি তার গতি ও পাল্লা তাদের হিসাব করতে দিন।’

ব্যাপক করতালিতে পুতিনের এ বক্তব্যকে স্বাগত জানান দেশটির শীর্ষ রাজনীতিবিদরা।

‘চাপে পড়ে রাশিয়াকে এমন ধরনের অস্ত্র তৈরি ও মোতায়েন করতে হতে পারে যেগুলো শুধু সরাসরি হুমকি হিসেবে কাজ করছে এমন অঞ্চলের বিরুদ্ধেই ব্যবহৃত হতে পারে এমন নয়, যে অঞ্চলগুলোতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেন্দ্রগুলো আছে সেগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবহৃত হতে পারে’- বলেছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পদক্ষেপ নিলে তাতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রের মস্কোতে পৌঁছানোর সময় ১০-১২ মিনিট কমে যাবে জানিয়ে এটিকে গুরুতর হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছেন পুতিন।

এ ধরনের অবস্থায় পাল্টা ব্যবস্থা না নেওয়া হলে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর আগেই মার্কিন পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রে রাশিয়ার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হয়ে যায়।

(ঢাকাটাইমস/২১ফেব্রুয়ারি/এসআই)