বাতের রোগীদের নিয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজন

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

যথাসময়ে চিকিৎসা, সঠিক পরিচর্যা ও সচেতন হলে বাতব্যথা রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যদিও এর চিকিৎসা দীর্ঘদিন ধরে নিতে হয়। তাই ধৈর্য ধরে রোগীদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।

কোমর ও বাতব্যথায় আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমেটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার মডার্ন ওয়ান স্টপ আর্থ্রারাইটিস কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ও প্রফেসর নজরুল রিউমেটোলজি ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের শিল্পী কুঞ্জে দিনভর এই অনুষ্ঠানে বাতব্যথায় আক্রান্ত রোগীরা তাদের  সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। পাশাপাশি  চিকিৎসাপরবর্তী সময়ে শারীরিক পরিস্থিতি নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন।

এসময় আর্থ্রাইটিস কেয়ার রিসার্চ সেন্টারের পক্ষ থেকে রোগীদের নানা পরামর্শ দেন। রোগীদের  হাতে ধরে কীভাবে শারীরিক পরিচর্যা করতে হবে তাও দেখিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

প্রফেসর নজরুল রিউমেটোলজি ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে দুই থেকে তিন ভাগ নারী পুরুষ কোমর ও বাতব্যথায় ভুগছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যথাসময়ে চিকিৎসা ও সচেতনতার অভাবে এই রোগে আক্রান্ত অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়ে। যা দেশের জন্যও ক্ষতিকর। 

চিকিৎসক বলেন, যথাসময়ে চিকিৎসা ও সচেতন হলে বাতব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। 
মডার্ন ওয়ান স্টপ আর্থ্রারাইটিস কেয়ার সেন্টার গত চার বছর ধরে বাতব্যথায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য এমন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলেও জানান তিনি। আগামী দিনে এই কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত করার ঘোষণা দেন অধ্যাপক নজরুল।

তিনি বলেন, ডাক্তার ও রোগী হলো আত্মার আত্মীয়। আমরা এই বিশ্বাস তৈরি করতে চাই। রোগীদের রোগের কথা ভুলিয়ে দিতে হবে। 

ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরে এর চেয়ারম্যান বলেন, বাতব্যথার রোগীদের যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা নিতে হয় তাই এদের কল্যাণের লক্ষ্যে এ ফাউন্ডেশন।

এসময় তিনি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একজন রোগীকে হুইল চেয়ার প্রদান ও রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স কেনারও ঘোষণা দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম সচিব আনোয়ারা বেগম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (অর্থ) মো. আবদুস সোবহান, বিসিএসআইআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. পিজুস কান্তি বিশ্বাস প্রমুখ।
রোগী ও চিকিৎসকদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজনের পর সবশেষ ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

(ঢাকাটাইমস/২১ফেব্রুয়ারি/বিইউ/জেবি)