চকবাজার ট্র্যাজেডি

দুই ভাইসহ নোয়াখালীতে ছয়জনের দাফন

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১১ | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১৫

নোয়াখালী প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

পুরান ঢাকার চকবাজারে আগুনে নোয়াখালীর যে কয়েকজন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ছয়জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে শুক্রবার সকাল নয়টা পর্যন্ত তাদের দাফন করা হয়। আগুনে জেলাটির আরও যেসব বাসিন্দা নিহত হয়েছেন তাদের বিভিন্ন সময় দাফন করা হচ্ছে।

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টায় বেগমগঞ্জের মুজাহেদপুরে কামাল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জের জসিম উদ্দিন এবং তিনটার দিকে পশ্চিম নাটেরশ্বর গ্রামের ভুলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়া শুক্রবার সকাল আটটায় পূর্ব নাটেশ্বর গ্রামের হেলাল উদ্দিন এবং সকাল নয়টায় ঘোষকামতা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে দুই ভাই মাসুদ রানা ও মাহাবুবুর রহমান রাজুকে। এছাড়া দিনের বিভিন্ন সময় বাকিদের জানাজা সম্পন্ন হবে।

চকবাজারের ওই অগ্নিকা-ের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী, কোম্পানীগঞ্জ ও বেগমগঞ্জ উপজেলার ১১জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্বজন ও স্থানীয়দের দেওয়া খবরে এই তথ্য জানা গেছে।

যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন সোনাইমুড়ির নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকামতা গ্রামের খাসের বাড়ির সাহেব আলীর দুই ছেলে মাসুদ রানা ও মাহাবুবুর রহমান রাজু, পশ্চিম নাটেশ্বর গ্রামের মিনহাজী বাড়ির মৃত ভুলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী হোসেন, নাটেশ্বর গ্রামের সৈয়দ আহমদের ছেলে হেলাল উদ্দিন, মির্জা নগর গ্রামের আবদুর রহিম বিএসসির ছেলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মমিন উল্যার ছেলে সাহাদাত হোসেন হিরা, মৃত গাউছ আলমের ছেলে নাছির উদ্দিন, মধ্যে নাটেশ্ব গ্রামের ছিদ্দিক উল্যাহ ও পার্শ্ববর্তী বারোগা ইউনিয়নের দৈলতপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আনোয়ার, বেগমগঞ্জ উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামের কামাল হোসেন এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী গ্রামের জসিম উদ্দিন।

এর আগে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছলে শোকের মাতম সৃষ্টি হয়। প্রিয় স্বজনের কফিনবন্দী হয়ে ফেরায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। পুরো এলাকাজুড়ে বিরাজ করে অন্যরকম এক শোকের আবহ। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে আসে আকাশ। স্বজন হারানোর বেদনায় শোকে মুহ্যমান পরিবারের সদস্যরা।

ঢাকা টাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এমআর