চুড়িহাট্টা আগুনে বিপজ্জনক তিন ভবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:২৪ | প্রকাশিত : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:২৬

পুরান ঢাকার চকবাজারে আগুনের ঘটনায় তিনটি ভবন ব্যবহারের জন্য বিপজ্জনক হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা। এগুলো ভেঙে ফেলতে হবে কি না, তা এক সপ্তাহের মধ্যে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের একজন অধ্যাপক।

বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত আগুনে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় পুড়েছে ওয়াহেম ম্যানসনসহ কয়েকটি ভবন।

এই আগুনের ঘটনা তদন্তে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গঠন করা কমিটির প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান মোট পাঁচটি ভবনের ক্ষতি হয়েছে।

শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন এই কর্মকর্তা। বলেন, ‘আমরা সকাল নয়টার পর ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো পরিদর্শনে এসেছি। এর মধ্যে তিনটি ভবন প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী বলে মনে হয়েছে।’

বৃহস্পতিবারই ওয়াহেদ ম্যানসনসহ কয়েকটি ভবন পরীক্ষা করে বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ দল। প্রাথমিকভাবে তারাও ভবনগুলো বিপজ্জনক বলে জানায়। এই দলের সদস্য অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ‘ওয়াহিদ ম্যানশনের গ্রাউন্ড ফ্লোর ও দ্বিতীয় তলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিম ও কলামগুলো বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩-৪ তলার বিম ও কলাম তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে কতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ বিষয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হবে। এক সপ্তাহ পর জানা যাবে, ভবনটি ব্যবহারের উপযোগী কি না।’

‘আগুন লাগা অন্যান্য ভবনগুলোও আমরা পরিদর্শন করেছি। তবে ভবনগুলো টিকে থাকার জন্য বিম ও কলাম প্রাথমিকভাবে ভালো মনে হয়েছে। তবে এগুলো ব্যবহারের উপযোগী কি না পরীক্ষা শেষে এক সপ্তাহ পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

‘রাসায়নিকের গুদাম যে কোনো মূল্যে সরবে’

এই আগুনের ঘটনায় পুরান ঢাকায় আবাসিক এলাকায় রাসায়নিকের গুদামের বিষয়টি আবার সামনে এসেছে। প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল এই আগুন রাসায়নিকের গুদামের কারণে ছড়িয়েছে। পরে জানা যায়, গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে সূত্রপাত আগুনের। পরে একাধিক গাড়ি, খাবার হোটেলের রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারও বিস্ফোরণ হয়েছে। পরে তা ছড়ায় ওয়াহেদ ম্যানসনে। সেখানে বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ ছিল।

আবাসিক এলাকায় রাসায়নিকের গুদামের অনুমতি নেই, নতুন করে লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। তবু কেন এসব গুদাম এতদিনে সরানো হয়নি- জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়তই চেষ্টা করে যাচ্ছি। এবার যে কোন মূল্যে সেসব সরিয়ে নেওয়া হবে।’

ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/এসপি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :