২০ বছরের রাস্তা কেটে জমি তৈরি

জাকির হোসেন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা
 | প্রকাশিত : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৪০

নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রায় ২০ বছরের যাতায়াতের রাস্তা কেটে জমি তৈরি করায় ৩০টি পরিবারের লোকজনের চলাচলে বাধার তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে জমির মালিক ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনাকর অবস্থা বিরাজ করছে।

উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাসকান্দর কুঠিপাড়া ও শাহপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কুঠিপাড়ার প্রধান সরকারি সড়কের সঙ্গে শাহপাড়া থেকে একটি উপসড়ক এসে সংযুক্ত হয়েছে। এই উপসড়ক দিয়ে শাহপাড়ার দুই শতাধিক মানুস যাতায়াত করে। এটাই তাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। মূল সড়কের সংযোগ স্থান থেকে ২০০ গজ দূরে রাস্তা কেটে জমির সঙ্গে মিলিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে ধান লাগানোর জন্য চাষ করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, মৃত দুই সহোদর আকবার আলী ও আনসার আলীর পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে তাদের সন্তানদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। আনসার আলীর ছেলে আ. রহিম ও সাদেকুল ইসলাম মাস খানেক আগে তাদের জমির মাঝ দিয়ে যাওয়া রাস্তার অংশটি কেটে জমিতে পরিণত করে। এতে চলাচলের আর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তারা এখন একরকম অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে পড়েছে। শাহপাড়ার ৩০টি পরিবার কুটিপাড়ার সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

আকবার আলীর ছেলে মাহতাব ও মোতাহার জানান, রাস্তাটির সংযোগস্থলে ৪০ শতক জমি নিয়ে আ. রহিমের সঙ্গে বিরোধ চলছে। জমিটি আ. রহিম তার নিজের একার বলে দাবি করে আদালতে মামলা করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে জমিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। কেউ আবাদ না করায় তা এখন খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে।

আ. রহিম একের পর এক মামলা দিয়ে মাহতাব ও মোতাহারকে হয়রানি করছেন অভিযোগ করে তারা বলেন, ‘এবার মামলায় আমাদের পরাস্ত করতে না পেরে এলাকাবাসীর চলাচলের পথটিই কেটে দিয়েছে রহিম।’

ফুলবাবু নামের এক ব্যক্তি জানান, এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল চৌধুরীর কাছে অভিযোগ দেয়া হলেও তিনি কোনো উদ্যোগ নেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে আ. রহিমের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মা জহুরা খাতুন ও ছোট ভাই সাদেকুল ইসলাম জানান, ‘আমাদের জমির ওপর দিয়ে রাস্তা করতে হলে যে পরিমাণ জমি রাস্তায় যাবে তা অন্যত্র দিতে হবে। আমরা গরিব মানুষ, জমিতে চাষ করে তা দিয়ে জীবন চালাই। এলাকাবাসী জমি দিতে সম্মত না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তা কেটে জমি তৈরি করেছি।’

দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা কাটা আইনগতভাবে দণ্ডনীয়- এমন কথা জানালে তারা বলেন, ‘এটা সরকারি রাস্তা নয়। এলাকাবাসীর সুবিধার্থে এই রাস্তা তৈরি হয়েছিল, এবং এর পরিবর্তে জমি দেয়ার কথা ছিল। সেই জমি না পেলে আর রাস্তা করতে দেয়া হবে না।’

(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :