গলাকেটে নৌ-সেনা হত্যায় ইউপি সদস্যসহ তিনজন আটক

কুমিল্লায় গলাকেটে নৌবাহিনীর এক সদস্যকে হত্যার ঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

আটকরা হচ্ছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেন, সিএনজি অটোরিকশা চালক মনির ও হারুন নামের এক সেচপাম্প চালক।

শুক্রবার তাদের আটক করা হয়। বুড়িচংয়ের ভান্তি গ্রামে মেহরাব হোসেন নামে নৌবাহিনীর ওই সদস্যকে বুধবার দিবাগত রাতে গলাকেটে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। নিহত মেহরাব ওই গ্রামের প্রবাসী সফিকুল ইসলামের ছেলে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ, র‌্যাব, সিআইডি, পিবিআইসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে শুক্রবার পারিবারিক কবরস্থানে মেহরাবের মরদেহের দাফন হয়েছে। নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের একটি দল তার মরদেহের ওপর জাতীয় পতাকা দিয়ে আচ্ছাদিত করে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

পুলিশ ও মেহরাবের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জানুয়ারিতে নৌ-বাহিনীতে নাবিক (সৈনিক) পদে যোগ দেন মেহরাব হোসেন। এক বছর খুলনায় প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি চট্টগ্রামে বদলি হন। তিনি মা ও স্বজনদের দেখার জন্য বুধবার রাতে বাড়ি রওয়ানা দেন। বাড়িতে আসার পথে কুমিল্লার আলেখারচর বিশ্বরোড থেকে তার মায়ের কাছে মোবাইল ফোনে জানান, বিশ্বরোড থেকে সিএনজি অটোরিকশায় উঠেছেন। দেরি হওয়ায় মা ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী তাকে খুঁজতে বের হন। অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায় গোমতী নদীর পাড়ে মেহরাবের লাশ দেখতে পাওয়া যায়।

মেহরাব হত্যার ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সৈনিক মেহরাবকে দুর্বৃত্তরা গলাকেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। দুর্বত্তরা নিহতের মোবাইল, টাকা-পয়সাসহ অন্যান্য মালামাল লুটে নিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/এলএ)