হেটমায়ার-কটরেলে সমতায় ফিরল উইন্ডিজ

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:২৯ | আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:৩৯

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ব্যাট হাতে অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দলকে বড় পুঁজি এনে দিলেন শিমরন হেটমায়ার। এরপর ৫ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিলেন পেসার শেলডন কটরেল। হেটমায়ার-কটরেল নৈপুণ্যে শুক্রবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৬ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সমতায় ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ব্রিজটাউনে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮৯ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ৪৭.৪ ওভারে ২৬৩ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।

প্রথম ওয়ানডেতে ৩৬০ রান তাড়া করে জিতে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে ব্রিজটাউনে ২৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১০ রানেই দুই ওপেনার জেসন রয় (২) আর জনি বেয়ারস্টোকে (০) হারিয়ে বসে তারা। দুটি উইকেটই নেন কটরেল। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জো রুট এবার সাজঘরে ফিরেছেন ৩০ রানে। ৬০ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক উইয়ন মরগান আর বেন স্টোকসের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। তবে এ জুটিকে বিপজ্জনক হয়ে ওঠতে দেননি কটরলে। চতুর্থ উইকেটে ৯৯ রান যোগ করার পর মরগানকে হেটমায়ারের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান কটরেল। ৮৩ বলে ৭০ রান করেন মরগান।

মরগানের বিদায়ের পর জস বাটলারের সঙ্গে নতুন করে জুটি বাঁধেন স্টোকস। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৬৯ রান যোগ করার পর হোল্ডারের বলে কাটা পড়েন স্টোকস। ৮৫ বলে ৭টি চার আর ২টি ছক্কায় ৭৯ রান করেন তিনি।

দলীয় ২২৮ রানে যখন স্টোকস ফিরেছেন, ১০ ওভারে তখন জয়ের জন্য মাত্র ৬২ রান দরকার ইংল্যান্ডের। হাতে ছিল ৫ উইকেট। কিন্তু দারুণ বোলিং করে ম্যাচটা নিজেদের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন উইন্ডিজ বোলাররা। ২৩৩ রানের মাথায় বাটলার (৩৪)আর টম কারেনকে (০) ফেরান হোল্ডার। ৪৭তম ওভারে এসে আদিল রশিদ (১৫) আর মঈন আলীকে (১২) তুলে নেন কটরেল। এরপর লিয়াম প্লাঙ্কেটকে ফিরিয়ে উইন্ডিজের জয় নিশ্চিত করেন ব্র্যাথওয়েট।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিল চমৎকার। ওপেনিং জুটিতে আসে ৬১ রান। যদিও টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ওপেনার ক্রিস গেইল (৫০)ছাড়া ইনিংস বড় করতে পারেননি আর কেউ। জন ক্যাম্পবেল (২৩), শাই হোপ (৩৩) ডারেন ব্রাভো (২৫)-সবাই উইকেটে থিতু হয়েও আউট হয়ে যান।

ব্যতিক্রম ছিলেন হেটমায়ার। এক প্রান্ত আগলে রেখে স্বভাবসুলভ মারকুটে মেজাজে খেলে যেতে থাকেন তিনি। শেষ ১০ ওভারে অধিকাংশ বল হেটমায়ারই খেলেছেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে ৮৩ বলে অপরাজিত ছিলেন ১০৪ রানে। যাতে ছিল ৭টি বাউন্ডারি আর ৪টি ছক্কার মার।

(ঢাকাটাইমস/২৩ ফেব্রুয়ারি/এবিএ)