নেদারল্যান্ডসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:১৮ | আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:১২

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রথম শহীদ মিনারের উদ্বোধন করা হলো নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরের জাউদার পার্কে। নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল এবং হেগ মিউনিসিপ্যালিটির ডেপুটি মেয়র মিজ সাসকিয়া ব্রুনস শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত ভারত, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান, রাশিয়ান ফেডারেশন, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, ইয়েমেন, ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং হেগের কূটনৈতিক কম্যুনিটি, ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও নেদারল্যান্ডসে বসবাসরত বাংলাদেশি কম্যুনিটির সদস্যরা।
স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং এই শহীদ মিনার নির্মাণে সাহায্য-সহযোগিতার জন্য হেগের মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূত বেলাল ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে স্মরণ করেন এবং সেই আন্দোলনকে ধারণ করে বাংলাদেশ কিভাবে বঙ্গবন্ধুর ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল তা তুলে ধরেন।


হেগের ডেপুটি মেয়র মিজ সাসকিয়া ব্রুনস তার বক্তব্যে শহীদ মিনারের সফলভাবে নির্মাণের নিমিত্তে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং হেগ মিউনিসিপ্যালিটিকে অভিনন্দন জানান।

তিনি উল্লেখ করেন, নেদারল্যান্ডে মোট ২০ (বিশ) ধরনের ভাষা ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যেক ভাষার ব্যবহার-ই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন জাতির মানুষের পারস্পরিক সহাবস্থানের মাধ্যমে যেমন সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ গঠিত হয় তেমনি সামাজিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করার জন্য প্রত্যেকটি ভাষারই প্রচলন থাকা প্রয়োজন। তিনি মন্তব্য করেন যে, জাউদার পার্কে নির্মিত এই শহীদ মিনার কেবল হেগকেই গৌরবান্বিত করবে না, একইসাথে মাতৃভাষাকে রক্ষা এবং এগিয়ে নিতে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

হেগের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র রবিন বলদেভসিং, যিনি শহীদ মিনার নির্মাণে জমি বরাদ্দে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন, বহুভাষা তত্ত্ব এবং বহু-সংস্কৃতির সহাবস্থানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং উল্লেখ করেন হেগে এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা মন্যুমেন্ট নির্মাণে এই ধারণা তাদের প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। নতুন নির্মিত এই শহীদ মিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, হেগের ডেপুটি মেয়র, অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিক কম্যুনিটির সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশ কম্যুনিটির সদস্যরা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/এলএ)