ডাকসু নির্বাচন

প্রার্থিতা নিয়ে দ্বন্দ্বে ছাত্রলীগের হল নেত্রীরা

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:৫৩ | প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৫৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী বিশেষ করে সহ-সভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক বাছাই নিয়ে নতুন করে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে ছাত্রলীগে। এ নিয় আজ মধুর ক্যান্টিনের সামনে গোলঘরে ছাত্রী নেত্রীদের লাঞ্ছনার অভিযোগও উঠেছে।

ছাত্রলীগের মধ্যে প্রচার আছে, যোগ্যতার মূল্যায়ন ছাড়াই নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে হল সংসদে মনোনয়ন দিচ্ছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চোধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বানী। ফলে বাদ পড়ছেন গত কমিটির হল শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা। তারা সবাই আগের কমিটির কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখার শীর্ষ নেতাদের অনুসারী ছিলেন।

এ নিয়ে বিভিন্ন সময় ছেলেদের হল শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে শোভন ও রাব্বানীর কথা-কাটাকাটি হলেও এত দিন নীরব ছিলেন মেয়েদের হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের ৫টি হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা মধুর ক্যান্টিনে যান কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু চার শীর্ষ নেতার মধ্যে তখন মধুর ক্যান্টিনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চোধুরী শোভন ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেইন। পরে তাদের নিয়ে মধুর ক্যান্টিনের সামনের গোলঘরে আলোচনায় বসেন ছাত্রলীগের এই দুই নেতা।

সেখানে নারী নেত্রীরা সভাপতির কাছে তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরলে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। একপর্যায়ে নেত্রীরা তাদের অবরুদ্ধ করলে রেগে যান শোভন ও সাদ্দাম। এ সময় শোভন-সাদ্দামের বেশ কয়েকজন অনুসারী গোলঘরে ঢুকে নারী-নেত্রীদের লাঞ্ছনা করেন। একপর্যায়ে তাদের থামানোর জন্য গোলঘর থেকে লাঠি হাতে তেড়ে যান শোভন।

মধুর ক্যান্টিনে উপস্থিত ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেত্রীর সঙ্গে কথা হয় ঢাকাটাইমস প্রতিবেদকের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, ‘ডাকসুর ভিপি ও এজিএস পদে নির্বাচনের জন্য মনোনীত হওয়ায় প্রথমে আমরা তাদের দুজনকে অভিনন্দন জানাই। এরপর আমাদের হল সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নের প্রশ্ন উঠলে শোভন ভাই বলেন, নতুনদের এসব পদে আনতে চান, তাই আমাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না। আমরা এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের বেয়াদব বলে আখ্যায়িত করেন।’’

নারীনেত্রীরা বলেন, ‘আমরা অন্য দুজন শীর্ষ নেতা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি সনজিত ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাব্বানীকে ডেকে আনতে বলি। আমরা সবার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম।’

সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন, স্যার এ এফ রহমান হলের সাংগাঠনিক সম্পাদক রাহিম সরকার, উপ-সম্পাদক আলীম খান, বঙ্গবন্ধু হলের সহসভাপতি শাকিল, সূযসেন হলের উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক সিয়াম রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য প্রদীপ চোধুরী ও সহ-সম্পাদক সাবরিনা ইতি গোলঘরে ঢুকে হট্টগোল করেন বলে জানান ছাত্রী নেত্রীরা।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কমিটি হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় ‍দুই নেতার সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের। কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাদের না রাখার সিদ্ধান্ত ও ডাকসু নির্বাচনের হল সংসদে তাদের পরিবর্তে নিজেদের অনুসারীদের মনোনয়নের চেষ্টা অন্যতম কারণ দ্বন্দ্বের।

মধুর ক্যান্টিনে আজকের অপ্রীতিকর ঘটনা অস্বীকার করেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন নিয়ে হলের নেতাদের সঙ্গে আমরা গোলঘরে আলোচনা করছিলাম। অন্য কোনো বিষয় সেখানে আলোচনায় আসেনি।’

‘ডাকসু নির্বাচন নিয়ে মেয়েদের কী করণীয় থাকবে, কীভাবে তারা হলে কাজ করবেন- এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ বলেন ছাত্রলীগ সভাপতি।

(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :