যবিপ্রবির ২০ বিভাগীয় চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

যশোর প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:৫৫ | প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:২৪

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদকে প্রাণনাশের হুমকি এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মানববন্ধনে হামলায় জড়িতদের শাস্তি না হওয়ার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালযের ২০টি বিভাগের চেয়ারম্যানরা একযোগে পদত্যাগ করেছেন।

আজ শনিবার উপাচার্য বরাবর এই পদত্যাগপত্র দেওয়া হয়। তবে বিকাল পর‌্যন্ত কোনো পদত্যাগপত্র পাননি বলে জানিয়েছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বিভাগের চেয়ারম্যানকে আলাদা কাগজে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার নিয়ম। বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত অফিসে ছিলাম, আমার কাছে কোনো পদত্যাগপত্র আসেনি।’

উপাচার্যের চিঠি গ্রহণ শাখায় পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, ‘সমিতির সাধারণ সভায় বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের গণপদত্যাগের সিদ্ধান্ত হয়। শনিবার উপাচার্য মহোদয়ের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে গেলে তিনি গ্রহণ করেননি। আমরা তার চিঠি গ্রহণ শাখায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’

পদত্যাগী চেয়ারম্যানরা হলেন অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ড. ইকবাল কবীর জাহিদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ড. মো নাজমুল হাসান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. আমজাদ হোসেন, পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের ড. সাইবুর রহমান মোল্লা, রসায়ন বিভাগের ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত, মার্কেটিং বিভাগের ড. মো. মেহেদী হাসান, ইংরেজি বিভাগের ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মদ কামাল হোসেন, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. ওয়াসিকুর রহমান, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের ড. মো. আনিসুর রহমান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড.এ এস এম মুজাহিদুল হক, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. মো. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, এগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. সৈয়দ মো. গালিব, গণিত বিভাগের মো. সাইফুল ইসলাম,

শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের ড. জাফিউল ইসলাম, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. মো. তানভীর হাসান, পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের ড. মো. ওমর ফারুক, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শেখ মিজানুর রহমান।

পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ ও ৯ জানুয়ারি র‌্যাগিংয়ে মদদদাতা কিছু উচ্ছৃংখল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাগিংবিরোধী ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এর প্রতিবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ কারণে শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন করলে সেখানে হামলা চালিয়ে বাধা দেওয়া হয়। এসব ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতি কর্মসূচি ঘোষণা করে। কিন্তু উপাচার্য ও যশোরের সুশীল সমাজের ন্যায়বিচারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী রিজেন্ট বোর্ডের সভা পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ৫৩তম রিজেন্ট বোর্ডের সভায় শিক্ষক লাঞ্ছনাকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাতে লাঞ্ছনাকারীরা নিরাপত্তা ও উৎসাহ পেয়েছে, আর শিক্ষকরা হুমকির মধ্যে পড়েছেন। আত্মসম্মানের সঙ্গে শিক্ষাদানের পরিবেশ ধ্বংস করা হয়েছে বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :