বঙ্গবন্ধু টানেলের মূল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
| আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৩৭ | প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৪৩

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের বোরিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। পরে টানেলের খনন কাজ পরিদর্শন করেন সরকারপ্রধান।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার দুই মহাপ্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হলো। প্রকল্প দুটি হচ্ছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিতব্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিতব্য টানেলটি দেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথ।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে একটি বিশেষ বিমানে চট্টগ্রাম পৌঁছান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম পৌঁছলে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব আনোয়ারুল ইসলাম বোরিং কার্যক্রম সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।পরে প্রকল্পের চট্টগ্রামের পতেঙ্গাস্থ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে প্রধানমন্ত্রী দুই টিউব বিশিষ্ট দেশের প্রথম টানেলের খনন কাজের সূচনা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ড. বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে চীনের সাংহাইয়ের আদালে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ মডেলে গড়ে তুলতেই কর্ণফুলীর তলদেশে এই টানেল নির্মাণ। এরই মধ্যে টানেল নির্মাণের জন্য চীন থেকে যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। আর খনন কাজে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রকল্প এলাকার কাছে ১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ সাব স্টেশন বসানো হয়েছে।

প্রায় আট হাজার আটশত আশি কোটি টাকা ব্যয়ে টানেলটি নির্মাণ করা হবে। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সহায়তা তিন হাজার ৯৬৭ কোটি ২১ লাখ এবং চীন সরকারের অর্থ সহায়তা পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

দুটি টিউব বিশিষ্ট মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪ কিলোমিটার। পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫.৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং ৭২৭ মিটার ওভার ব্রিজসহ এ টানেল চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাকে শহরাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম শহরকে বাইপাস করে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ফলে চট্টগ্রাম শহরের যানজট কমাসহ ভ্রমণের সময় হ্রাস পাবে। বদলে যাবে চট্টগ্রামের বাস্তব চিত্র এবং পরিবর্তন আসবে অর্থনৈতিক আঙিনায়। বাড়বে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতাও। প্রতিষ্ঠিত হবে বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের অধীনে এ কাজ চলবে। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে টানেলের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে সেতু বিভাগ।

ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/ওআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশে আসছে চীন আর্মি, নজর রাখছে ভারত

বাংলাদেশে বৃষ্টির নামাজের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে

ন্যাপ বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোকে সহায়তার আহ্বান

রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস

উপজেলা নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ ইসির

‘পৃথিবীর কোনো দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি পারফেক্ট নয়’  

ফুডগ্রেডবিহীন ড্রামে ভোজ্যতেল ব্যবহার বন্ধ না হওয়ায় উদ্বেগ

কৃষির সব স্তরে উন্নত প্রযুক্তি আবশ্যক: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়: রাষ্ট্রদূত

চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :