বরুড়ায় ইউপি নির্বাচন ঘিরে ভাঙচুর গুলির অভিযোগ
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ঘিরে হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর এবং নির্বাচনী সহিংসতায় ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি এই ইউনিয়নে ভোট নেওয়া হবে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ তিনজন চেয়ারম্যান পদে ও ৯ জন সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা করে আওয়ামী লীগের এই বিদ্রোহী প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপি নাছিমুল হক নজরুলের কাছে শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠানের দাবি জানান।
মারধরের শিকার মো. রুবেল হোসেন নামের একজন ভোটার অভিযোগ করে বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রবিউল আলমের পক্ষে মাইকিং ও প্রচার না করার অপরাধে আমাকে মারধর করেছে। ২৬ ফেব্রুয়ারির আগে আমাকে ইউনিয়ন ছাড়তে হুমকি দিয়েছে।’
গালিমপুর ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা মো. শহিদুল্লাহর বাড়িতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রবিউলের সমর্থকরা হামলা, ভাঙচুর, গুলি ও ককলেট ফুটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার। তিনি বলেন, ‘যখন আমাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয় তখন বরুড়া থানার কয়েকজন পুলিশ বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। এলাকাবাসী যখন আমাদের বাঁচাতে আসে তখন পুলিশ তাদের বাধা দেয়।’
অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রবিউল আলম উল্টো প্রতিপক্ষ বাচ্চু মিয়ার সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তার মিছিলে হামলার। এতে তার একাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। এই ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করেন বলে জানান রবিউল।
আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের প্রার্থীর পরস্পরের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন বরুড়া উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি অভিযোগগুলো পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। আমরা নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে কাজ করছি।’
(ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/মোআ)