‘খেজুর রসের হাড়ি যেন আস্ত জীবানু বোমা’

‘খেজুর রসের মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়ে নিপাহ্‌ ভাইরাস। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কার্যকর কোনো প্রতিষেধক নেই। খেজুর রসের হাড়ি তাই যেন আস্ত জীবানু বোমা। আমাদের এই বোমাটি সর্ম্পকে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। সচেতন না হলে প্রাণহানির শঙ্কা শতভাগ। একমাত্র সচেতনতাই পারে নিপাহ্‌ ভাইরাস থেকে আমাদের মুক্ত রাখতে।’

ফরিদপুরে ‘নিপাহ্‌ ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক জেলা পর্যায়ের সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেছেন বক্তারা।

সোমবার সকাল দশটার দিকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, ঢাকার সহযোগিতায় ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সিভিল সার্জন মো.আবু জাহেরের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলমগীর ফকির।

আলোচনায় অংশ নেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র মণ্ডল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আবদুল্লা হিস আবু সায়াদ, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাসুদা বেগম, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি কামরুজ্জামান সোহেল প্রমুখ।

সেমিনারে জানানো হয়, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলা হচ্ছে নিপাহ্‌ ভাইরাসের ডেঞ্জার জোন। এই ভাইরাস একটি মারাত্মক রোগ। এটি কারো হলে মৃত্যু নিশ্চিত। নিপাহ ভাইরাস রোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে খেজুরের কাঁচারস। ফলে কোনোক্রমেই খেজুরের কাঁচারস খাওয়া যাবে না।’ রোগটির ভয়াবহতা সর্ম্পকে সকলকে সচেতন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন সেমিনারে আগতরা।

ফরিদপুর জেলায় এ পর্যন্ত নিপাহ্‌ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানানো হয় সেমিনারে।

সেমিনারে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি, জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকরা অংশ নেন।

(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/প্রতিবেদক/এআর)