চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব নিখিল সেন
পরলোক গমন করেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ভাষাসৈনিক ও সাংবাদিক নিখিল সেন গুপ্ত। সোমবার দুপুর ১টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবরে নগরজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বরিশাল আদীশ্মশানে প্রয়াতের অন্তেষ্টিক্রিয়া হবে।
নিখিল সেন ১৯৩১ সালের ১৬ এপ্রিল বরিশালের কলশ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা যতীশ চন্দ্র সেন গুপ্ত ও মা সরোজিনী সেনগুপ্ত। তিনি পরিবারের ১০ সন্তানের মধ্যে ৪র্থ। আবৃতিতে অবদান রেখে ২০১৫ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন নিখিল সেন গুপ্ত। নাটকে বিশেষ অবদান রাখায় ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক সম্মাননা অর্জন করেন প্রতিথযশা এই ব্যক্তি।
এছাড়াও ১৯৯৬ সালে শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সম্মাননা ও ২০০৫ সালে শহীদ মুনীর চৌধুরী সম্মাননা অর্জন করেন নিখিল সেন। তার জীবনের প্রথম নাটক সিরাজের স্বপ্ন। ওই নাটকে সিরাজ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেই থেকেই নাট্যজীবন সূচনা তার।
রাজনৈতিক জীবনে কমিউনিস্ট আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নেন। এছাড়া ৫২’র ভাষা আন্দোলনেও তার ভূমিকা ছিল।
(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/এলএ)