পলাশ অ্যাবনরমাল ছিল, তাই ডিভোর্স: সিমলা

বিমানের দুবাইগামী উড়োজাহাজ ছিনতাইচেষ্টার পর কমান্ডো অভিযানে নিহত পলাশ আহমেদকে নিয়ে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন চিত্রনায়িকা সিমলা।

ভিডিও বার্তায় তিনি পলাশের স্ত্রী ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। বলেন, ‘২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আমার সঙ্গে পরিচয় পলাশের। আমি পরিচালক রশিদ পলাশের 'নাইওর' ছবি করেছিলাম। সেদিন পরিচালক রশিদ পলাশের জন্মদিন ছিল। আমাকে সেখানে ইনভাইট করেছিলেন তিনি। আমি সেখানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই পলাশের (বিমান ছিনতাইচেষ্টাকারী) সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।’

‘এরপর ২০১৮ সালের ৩ মার্চ আমরা বিয়ে করি। ওই বছরেরই নভেম্বরে আমাদের ডিভোর্স হয়েছে।’

রবিবার বিমান ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পলাশ ও সিমলার বিয়ের বিষয়টি সামনে আসে। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা বিতর্ক চলছে। এছাড়া গণ্মাধ্যমেও নানা সংবাদে পলাশের সঙ্গে সিমলার নামটি আসছে। এর ব্যাখা দিতেই ভিডিও বার্তা দেন নায়িকা।

সিমলা বলেন, ’পেশা হিসেবে আমি যেটা জানতাম-জানি সেটা হলো পরিচালক রশিদের 'কবর' ছবিতে প্রযোজক হিসেবে ছিলেন পলাশ (বিমান ছিনতাইচেষ্টাকারী)। আমি তাকে (পলাশ) একজন প্রযোজক হিসেবেই চিনি।’

কিন্তু গত বছরের ৬ নভেম্বর পলাশের সঙ্গে তার ডিভোর্স হয় জানিয়ে সিমলা বলেন, ‘ডিভোর্স দেয়ার কারণ ছিল। মূল কারণ হচ্ছে- মানসিক সমস্যা।’’

সিমলা বলেন, ‘আমি ঘটনার (বিমান ছিনতাইচেষ্টা) সবই শুনেছি। আমার এখন কী করা উচিত। যেহেতু উনাকে (পলাশ) আমি ডিভোর্স দিয়ে ফেলেছি। আমাদের ডিভোর্স হয়েছে চার মাস চলছে। গতবছরের নভেম্বর মাসের ৬ তারিখে ডিভোর্স হয় আমাদের। এখন আমার কী করণীয় আছে।’

পলাশের বিমান ছিনতাইচেষ্টার ঘটনা দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক উল্লেখ করে ‘ম্যাডাম ফুলি’ খ্যাত নায়িকা বলেন, ‘তবুও একটা কথা থাকে এখানে। যেহেতু এত বড় একটা ঘটনা ঘটেছে। করেছে দুঃসাহসিক একটা ঘটনা উনি (পলাশ) অ্যাবনরমালেই করেছেন।’

‘যেটাই করেন না কেন এটা তো শোভনীয় নয়। এটা তো দেশের জন্য শোভনীয় নয়। এটা আমার দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক।’’

এই জন্য যদি কোথাও ফেইস করতে হয় তার কোনও অসুবিধা নেই জানিয়ে এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘সেখানে যদি আমার দেশের স্বার্থের জন্য কোথাও ফেইস হতে হয়, কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, নো প্রোবলেম। আমি রেডি, নো প্রবলেম।’

রবিবার বিকালে ক্রুসহ ১৪৮ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার পথে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে পাইলট দক্ষতার সঙ্গে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করান।হয়। এর পরপরই রানওয়েতে বিমানটি ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ।

পরে সব যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হলেও একজন ক্রুকে ওই ছিনতাইকারী জিম্মি করে রাখে বলে খবর আসে। পরে কমান্ডো অভিজানে ওই যুবক মারা যান। রবিবার ওই যুবকের পরিচয় নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়। আর সোমবার জানা যায়, তার নাম মো. পলাশ আহমেদ। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুরের দুধঘাটা গ্রামে তার বাড়ি। তার বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার। সে ওই উড়োজাহাজের ১৭/এ নম্বর আসনের যাত্রী ছিল। গ্রামের সবাই তাকে পলাশ নামেই চিনত। গ্রামের বাইরে পলাশ নিজেকে মাহাদী নামে পরিচয় দিত। তিনি আগে বগুড়া থেকে বিয়ে করলেও নায়িকা সিমলার সঙ্গেও বৈবাহিক বন্ধনে জড়ান।

ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/ডিএম