ঝড়ে বাড়িঘর বিধ্বস্ত, বাগেরহাটের চার উপজেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৫০

বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বর্ষণ, শিলা বৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে। ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা-পাকা প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় গাছ ও ঘরচাপায় আহত হয়েছেন অন্তত আটজন। আহতদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় জেলার চারটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়ায় এই ক্ষতি হয়। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

আহতরা হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ খানপুর গ্রামের শেখ জাকির হোসেন, মাদরাসাছাত্র ফরিদ হোসেন, তার মা সাফিয়া বেগম, মেয়ে রাফমিন, ময়না, লাকি বেগম, হাবিব এবং আফরিনা।

বাগেরহাট পৌরসভার হাড়িখালি, সদর উপজেলার খানপুর, ষাটগম্বুজ, কাড়াপাড়া, ডেমা, বেমরতা ও রাখালগাছি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে অন্তত শতাধিক কাঁচাপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির ফহম উদ্দীন বলেন, প্রবল বর্ষণ ও শিলা বৃষ্টির সাথে ঝড়ে দক্ষিণ ও উত্তর খানপুর গ্রামের অন্তত ৩০টি কাঁচাপাকা বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘর ও গাছচাপা পড়ে শিশু-নারীসহ পাঁচজন হয়েছেন। তাদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝড়ে অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে।

জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি ও গাছপালা পড়ে গেছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) নাজমুল হাসান বলেন, ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের বেশকিছু খুঁটি ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় বাগেরহাট সদর, কচুয়া, ফকিরহাট ও রুপসা উপজেলায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

তিনি বলেন, ঝড়ে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নে তিনটি, ফতেপুর, সায়েড়া ও বিষ্ণুপুর গ্রামে অন্তত ছয়টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। আমাদের একাধিক দল বিদ্যুৎ সংযোগের মেরামত কাজে মাঠে নেমেছে।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আফতাব উদ্দীন বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় প্রায় ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টিতে কৃষির তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। বরং এই বৃষ্টিতে গ্রীষ্মকালীন ফসল আম, কাঁঠাল ও বোরো ধানের উপকার হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৬ফেব্রুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :