কণ্ঠশিল্পী আসিফকে আদালতে যেতে হবে না
গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিনের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্লী আসিফ আকবরকে সশরীরে আর আদালতে হাজিরা দিতে হবে না। মামলার ধার্য তারিখে এই শিল্পের পক্ষে আদালতে হাজিরা দেবেন তার নিয়োজিত আইনজীবী।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ওই মামলায় আজ মঙ্গলবার আসিফের এক আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আগামী ১ এপ্রিল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ঠিক করেন বিচারক।
আজ মামলার ধার্য দিনে আসিফ আকবর আদালতে সশরীরে হাজিরা দেন। এ সময় তার আইনজীবী আদালতে আসিফের কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ব্যস্ততা এবং অসুস্থতা বিবেচনায় তাকে মামলার চার্জশিট দাখিল না হওয়া পর্যন্ত আদালতে সশরীরে অনুপস্থিতিতিতে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে এদিন মামলার পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলে দিন ধার্য থাকলেও তা দাখিল না হওেয়ায় আদালত ১ এপ্রিল নতুন তারিখ ধার্য করেন।
২০১৮ সালের ৬ জুন এ মামলায় আসিফকে কারাগারে পাঠায় আদালত। ৫ দিন কারাভোগের পর ১১ জুন আদালত তার জামিন মঞ্জুর করলে ওই দিনই মুক্তি পান শিল্পী।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিনের করা তেজগাঁও থানার মামলায় গত ৫ জুন দিবাগত রাত দেড়টার গ্রেপ্তার হন আসিফ আকবর। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল আসিফকে মগবাজারে তার অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে।
মামলায় আসিফ ছাড়া আরও চার-পাঁচজন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছরের ১ জুন রাত নয়টার দিকে একটি চ্যানেলের ‘সার্চ লাইট’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন। ঘটনা জানার পর তিনি গত ২ জুন রাতে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়টি উল্লেখ করে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন। তার সেই পোস্টের নিচে আসিফ অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, পরের দিন রাত ১০টার দিকে আসিফ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দেন। শফিক তুহিনকে শায়েস্তা করবেন বলে হুমকি দেন। পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, শফিক তুহিনকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। আসিফের এই বক্তব্যের পর তার ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শফিক তুহিনকে হত্যার হুমকি দেন। আসিফের লাইভ লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উসকানি দিয়েছেন। এতে তার (শফিক তুহিন) মানহানি হয়েছে।
কণ্ঠশিল্পী আসিফ বরাবরই এসব অভিযোগ নাকচ করে আসছেন। পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া হলেও আসিফ চান আদালতেই এর ফয়সালা হোক।
(ঢাকাটাইমস/২৬ফেব্রুয়ারি/মোআ)