রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিখিল সেনের শেষকৃত্য

ব্যুরো প্রধান, বরিশাল
 | প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:০৩

একুশে পদকপ্রাপ্ত, সাংস্কৃতিকজন ও বরিশাল প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য নিখিল সেনের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন বরিশালের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে এ শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করা হয়।

বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে নিখিল সেনের মরদেহ নিয়ে আসার পর প্রথমে তার প্রতি শেষশ্রদ্ধা নিবেদন করেন বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এরপর একে একে বরিশাল মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব, দৈনিক মতবাদ পরিবার, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি, মহানগর বিএনপি, জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি, বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ, অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়সহ শতাধিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়কস্থ শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে নিখিল সেনের মরদেহ নিয়ে আসার পর তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বরিশাল উদীচি সাংস্কৃতিক সংগঠন কার্যালয় ও অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ে। সেখানেও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শেষকৃর্ত সম্পন্ন করার জন্য মরদেহ নেয়া হয় নগরীর মহাশ্মশানঘাটে। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে দুপুরে তার শেষকৃর্ত সম্পন্ন করা হয়।

এর পূর্বে সোমবার বিকালে নিখিল সেনের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি ও বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।

প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর একটার দিকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একুশে পদকপ্রাপ্ত নিখিল সেন পরলোকগমন করেন। এর আগে ওইদিন সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র, ২ কন্যা রেখে গেছেন। প্রয়াত নিখিল সেন বাংলাদেশের একজন প্রতিথযশা নাট্যকার ও সংস্কৃতিকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিক। ১৯৩১ সালের ১৬ এপ্রিল বরিশালের কলশ গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। নাটকে বিশেষ অবদান রাখার জন্য নিখিল সেন ২০১৮ সালে একুশে পদক এবং আবৃত্তিতে অবদান রাখার জন্য ২০১৫ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯৬ সালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সম্মাননা, ২০০৫ সালে শহীদ মুনীর চৌধুরী পুরস্কার, আলতাফ মাহমুদ পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬ফেব্রুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :