‘পরমের সাথে কথোপকথন’ আফরোজা সোমার

জহির রায়হান, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৩৯

আফরোজা সোমা। সাহিত্যবিচারে শূন্য দশকের কবি। ২০০০ পরবর্তী যারা বাংলা কবিতা লিখতে এসেছেন তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনাকালীন নিবিড়ভাবেই জড়িয়ে পড়েন কবিতায়। ছোটকাগজ-বড়কাগজে নিয়মিত প্রকাশ হতে থাকে তার লেখা। প্রশংসিত হয় পাঠক ও বোদ্ধামহলে। এবারের বইমেলায় প্রকাশ পেয়েছে এই তরুণ মেধাবী কবির চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ ‘পরমের সাথে কথোপকথন’।

কবিতা লেখা প্রসঙ্গে মেলা প্রাঙ্গণে আফরোজা সোমার সঙ্গে কথা হয় ঢাকাটাইমসের। তুলে ধরেন কবিতার জগতে প্রবেশের নানা প্রসঙ্গ।

আফরোজা সোমা বলেন, ‘আমার ভেতরে কবিতা একটা মায়ার জায়গা করে নিয়েছে। আমি কবিতা লিখি? মনে হয় কবিতাই আমাকে লেখে। যেই জিনিসটা না করে পারি না। এক অর্থে আমিই কবিতার কাছে কোনও না কোনও ভাবে নিয়ন্ত্রিত।’

১৯৯৬ সালে মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময় লেখালেখির শুরু হয় জানিয়ে সোমা বলেন, ‘ সারাটা জীবন কবি বা লেখক এই সত্ত্বাটাকেই আমি তৈরি করতে চেয়েছি। সচেতনে, আমার অবচেতনে। এই সত্ত্বাকেই ধরে রাখার চেষ্টা করি।’

এই কবি বলেন, ‘আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানমূলক কবিতাগুলোকে আপনি হয়তো সুফি দর্শন ও মিস্টিক ঘরানার কবিতা ভাবতে পারেন। তবে এই কবিতাগুলো মূলত নিজের সাথে নিজের বোঝাপড়া ও আলাপনের সারৎসার। আর প্রেম তো চিরকালীন বিষয়। রোমান্টিক সেই কবিতাগুলোয় রয়েছে বিরহ, বিচ্ছেদ ও মিলনের আকুতি।’

পাঠকদের উদ্দেশে আফরোজা সোমা বলেন, ‘যা পড়তে ভাল লাগে সেটা পড়ুন। সেটা দৈনিক পত্রিকার কলাম হোক , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বই হোক, হুমায়ূন আহমেদের হোক, যার বই হোক। কে কোন সাহিত্যকে ভালো বললো, মন্দ বললো ওসব নিয়ে তাড়িত হওয়ার কিছু নেই। যা মন চায়; পড়তে ভাললাগে তা পড়তে থাকুন। পড়তে পড়তে নিজের একটা রুচি দাড়িয়ে যাবে। এবং খুব দারুণভাবে বাঁচুন । বাঁচাটাই সবচেয়ে বড় কবিতা।’

সামনে গল্পের বই বের করার ইচ্ছে আছে সোমার । অনুবাদ কবিতার বই নিয়ে কাজ করছেন বলেও জানান বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক। তাছাড়া পত্রিকায় নিয়মিত প্রবন্ধ ও কলাম লেখা হয় আফরোজা সোমার। এসবও বই আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছা রয়েছে এই কবির।

৪৫টি কবিতা নিয়ে ‘পরমের সাথে কথোপকথন’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে বৈভব প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন শতাব্দি জাহিদ। বইটি পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলার ৪২২ নম্বর স্টলে।

আফরোজা সোমার অন্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো- অন্ধঘড়ি (২০১০, কথা প্রকাশ), হারমোনিকা (২০১৪, সংবেদ) ও ডাহুক (২০১৫, ভাষা প্রকাশ)। বইমেলায় এ বইগুলোও পাওয়া যাবে। পাশাপাশি পাওয়া যাবে অনলাইনে বইয়ের দোকান রকমারী ডটকমে।

(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/জেআর/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :