রাজশাহী খাদ্য বিভাগের ঘুষ বাণিজ্য ধরল দুদক
ঠিকাদার চুক্তিবদ্ধকরণ নিয়ে রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তরে চলছে ঘুষ বাণিজ্য। ভুক্তভোগী এক ঠিকাদারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। স্লিপপ্রতি ৩০ হাজার টাকা করে নিয়ে তৈরি ১৭ ঠিকাদারের নাম সম্বলিত তিনটি হলুদ স্লিপ জব্দ করে ।
দুদকের হটলাইন ‘১০৬’ এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজশাহী কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে এ দুর্নীতির প্রমাণ পান। মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
সরেজমিনে দুদক টিম দেখতে পান, নিবন্ধন পেতে আবেদন দাখিল করতে গেলে প্রত্যেক ঠিকাদারকে পরিবহন ঠিকাদার সমিতির অফিস থেকে স্লিপ সংগ্রহ করে জমা দিতে বলা হয়। অন্যথায় তাদের কাগজপত্র জমা নেওয়া হয় না। ঠিকাদারদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক ৩০ হাজার টাকা করে নিয়ে তাদের নাম ও সিরিয়াল নম্বর লিখে সিল সম্বলিত স্লিপ দেন সমিতির নেতারা। ওই স্লিপ ঠিকাদাররা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে জমা দিলে তবেই তাদেরকে চুক্তিবদ্ধ করা হয়।
সূত্র জানায়, সরেজমিনে অভিযানকালে এমন ১৭ জন ঠিকাদারের নাম সম্বলিত তিনটি হলুদ স্লিপসহ চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদারদের তালিকা জব্দ করা হয়। ফরম জমা দিতে আসা একাধিক ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেওয়ার সত্যতা মেলে।
এ সময় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মনিরুজ্জামান বগুড়ায় একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে ছুটিতে আছেন বলে জানানো হয়। অন্য কোনো কর্মকর্তাও কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না।
দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান মহাপরিচালক (প্রশাসন) মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘শিগগিরই অনুসন্ধান করে এ দুর্নীতির উৎস বের এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
(ঢাকাটাইমস/২৭ ফেব্রুয়ারি/ব্যুরো/এআর)