চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬

চবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:২৫

পূর্বশত্রুতার জেরে আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ। এতে অন্তত ছয় কর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে তিনজনকে।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। এসময় উভয় পক্ষই দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দেয়।

তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে পাঁচটি রামদা উদ্ধার করে। এসময় তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করা হয়।

আহতরা হলেন- ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সমাজতত্ত্ব বিভাগের মেহেদি হাসান, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের ওসমান, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের ফয়সাল, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের ইমরান হাসান, ইসলামের ইতিহাস, সংস্কৃতি বিভাগের আব্দুস সাত্তার ও ইংরেজি বিভাগের রহমত উল্লাহ।

বুধবার সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী হলের পাশের একটি দোকানে সিএফসি ও বিজয় পক্ষের কর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সিএফসি নেতা সোয়েবুর রহমান কনক বিজয় গ্রুপের কর্মী কাকনকে মারধর করেন। পরবর্তীতে সিনিয়রদের হস্তক্ষেপে সেটি মীমাংসা হলেও রাত সাড়ে দশটার দিকে কনক ও আখলাছ সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে এলে বিজয়ের কর্মীরা তাদের মারধর করে আখলাছের মোটরসাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় সিএফসির নেতাকর্মীরা শাহ আমানত হল ও বিজয় পক্ষের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান নিলে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে।

এ ঘটনা বৃহস্পতিবার সিএফসি পক্ষের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দীতে অবস্থানরত বিজয় পক্ষের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়ার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে চার ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। পরবর্তীতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেয়। এসময় পাঁচটি রামদা ও তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে। বর্তমানে উভয় পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দিচ্ছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিএফসি পক্ষের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি জামান নুর বলেন, বুধবার রাতে পরিকল্পিত ঘটনা ঘটানোর পরে আজ বিজয় পক্ষটি আবারও আমাদের এক ছেলেকে মারধর করে। এতে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। তাদের অবস্থান সুদৃঢ় না হওয়ায় তারা ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়। তবে তাদের যেসব কর্মী নিয়মিত ছাত্র এবং নৈতিক ছাত্রলীগ তাদের দায়ভার আমরা নিতে প্রস্তুত। যারা ঝামেলা করে পালিয়েছে তাদের কোন সুযোগ নেই।

বিজয় পক্ষের নেতা এইচ এম তারেকুল ইসলাম বলেন, বুধবারের ঘটনায় আমরা সিনিয়ররা বসে সমাধানের চেষ্টা করলে আজ ছাত্রলীগ নামধারী কিছু সন্ত্রাসী আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সচল রাখতে আমাদের পক্ষ সব সময় সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি করে। সিএফসি ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছে। আমারা এদের শাস্তি চাই।

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আখতারুজ্জামান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জেনেছি।

(ঢাকাটাইমস/২৮ফেব্রুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :