চাটখিলে রোগীকে ধষর্ণচেষ্টা, চিকিৎসা সহকারী গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০১ মার্চ ২০১৯, ১৮:৪৯ | আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৯, ১৯:১৮

নোয়াখালী প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
গ্রেপ্তার আনোয়ার হোসেন

নোয়াখালী চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসা সহকারী (মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট) আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা অভিযুক্ত চিকিৎসা সহকারীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে আটক করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আনোয়ার হোসেন সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের শাকিরপুর গ্রামের আবদুল মালিকের ছেলে।

মামলা ও নারীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শারীরিক সমস্যা নিয়ে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আসেন ওই নারী। এ সময় তার সঙ্গে তার চাচি শাশুড়ি ছিলেন। এ সময় আনোয়ার হোসেন তাকে জরুরি বিভাগের ভেতরে একটি বিশেষ কক্ষে নিয়ে যান। প্রথমে আনোয়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে একাধিক বার হাত দেন। এক পর্যায়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই নারী চিৎকার দেন।

চিৎকার শুনে চাচি শাশুড়ি এগিয়ে গেলে আনোয়ার হোসেন ছটকে পড়েন। পরে বিষয়টি রোগীর স্বজনদের ফোনে জানালে তারা এসে পালিয়ে যাওয়ার সময় আনোয়ারকে উপজেলা পরিষদ গেইটে আটক করে জুতাপেটা ও গণধোলাই দেন। খবর পেয়ে চাটখিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী জানান, আনোয়ার দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চাকরি করে আসছেন। এর আগেও একাধিক নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া রাতে জরুরি বিভাগে নিয়মিত জুয়ার আসর বসান বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকাটাইমসকে বলেন, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটি রবিবার সিভিল সার্জন বরাবর রিপোর্ট পেশ করবে।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এস এম সামছুদ্দিন ঢাকাটাইমসকে জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০১মার্চ/জেবি)