মৌচাকে ঘেরা মাদারীপুরের মল্লিকবাড়ি

সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর
| আপডেট : ০২ মার্চ ২০১৯, ১০:২৯ | প্রকাশিত : ০২ মার্চ ২০১৯, ১০:২৭

বাড়িটির ভবন ও ভবনের পাশের গাছের ডালে অর্ধশত মৌচাক। এতো মৌচাকের কারণে বাড়িটিকে ‘মৌচাকবাড়ি’ নামেই চেনেন এলাকার মানুষ। গত দশ বছর ধরে মাদারীপুরের দক্ষিণ খাকছাড়া গ্রামের কবির মল্লিকের বাড়িতে মৌমাছিদের এমন বাসা বাধার দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য দেখতে দূর-দুরান্ত থেকে আসেন দশনার্থীরা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাদারীপুর জেলা শহরের দক্ষিণ খাকছাড়া গ্রামের কবির মল্লিকের দোতলা ভবনটির চারদিকের কার্নিশ, বারান্দার দেয়াল, দরজার উপরের অংশের অনেক স্থানে ঝুলছে বেশ কয়েকটি মৌচাক। সেদিনেই চোখ যায় সেদিকেই চোখে পড়ে মৌচাকের দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য। ভবনটির পাশের গাছের ডালে ডালেও ঝুলছে অনেক মৌচাক। দূর থেকে বাড়িটি দেখলে মনে হয় যেন মৌমাছিরা দখল করে নিয়ে বাড়িটি। এভাবে প্রায় অর্ধশত মৌচাক বাসা বেঁধে থাকে সেপ্টেম্বর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত।

বাড়ির মালিকের ছেলে সাজ্জাত মল্লিকসহ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, এ বাড়িতে সবসময় মৌচাক থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা সারি সারি মৌচাক দেখাতে আসে। বাড়িটি এখন এলাকার দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।

বাড়ির মালিক কবির মল্লিক বলেন, ‘১০ বছর ধরে আমার ভবনের দেয়াল ঘেঁষে এভাবেই মৌচাক বসে। এই দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিদিন মানুষ ভিড় করে। সারা বছর মৌচাক থাকলেও সরিষা চাষের মৌসুমে চাকের পরিমাণ বেড়ে যায়। মৌমাছি বাড়ির কাউকে কোনো ক্ষতি করে না। মৌচাকের ফলে আমরা বারো মাসই নিজেরা মধু খেতে পারি এবং প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজনকেও দিতে পারি।

মাদারীপুর ফ্রেন্ডস অব নেচারের নির্বাহী পরিচালক রাজন মাহমুদ বলেন, যত্রতত্র ইটভাটার কারণে মৌমাছি আর মৌচাক কমে যাচ্ছে। তাই অনুমোদনবিহীন ইটভাটা বন্ধের দাবি জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ২০ থেকে ২৫ বছর আগে প্রায় বাড়িতেই মৌচাক দেখা যেত। পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার কারণে এখন আর তেমন মৌচাক চোখে পড়ে না। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলে মৌচাকের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।’ অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে প্রকৃতি থেকে মৌমাছি আর মৌচাক কমে যাওয়ায় মল্লিকবাড়ির দৃশ্যটি সবার নজর কেড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২মার্চ/প্রতিনিধি/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :