পরীক্ষার জন্য আলাদা কেন্দ্র নির্মাণের তাগিদ শিক্ষামন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইামস
 | প্রকাশিত : ০২ মার্চ ২০১৯, ১৫:১৯

শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য আলাদা কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে পাঠদান ব্যহত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বলেন, ‘দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সারাবছর কোনো না কোনো পরীক্ষা থাকে। এতে পাঠদান ব্যাহত হয়। তাই শুধু পরীক্ষা নিতে কেন্দ্র নির্মাণ করা যাতে পারে। যেখানে শুধু পরীক্ষাই হবে, অন্য কোনো কিছু নয়।’

শনিবার সকালে ‘কলেজ পারফরমেন্স র‌্যাংকিং ২০১৬ ও ২০১৭’অ্যাওয়ার্ড ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন। রাজধানীর সেগুসবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে আগে বলা হতো মালটানা রেলগাড়ির মতো তুলনা করা হতো উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু এখন এটি সম্পর্কে বলা হয় দ্রুতগামী আন্তঃনগর ট্রেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির এই যে অগ্রযাত্রা, সেটি অব্যাহত থাকবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।’

‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারাবিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৮ লাখ। এটি সম্পর্কে আগে অনেক নেতিবাচক তথ্য আমরা জানতাম। কিন্তু বর্তমান উপাচার্যের নেতৃত্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় আজকে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে।’

‘কলেজে নোট-বইয়ের প্রাধান্য রোধ করতে হবে’

কলেজে নোট-বইয়ের প্রাধান্য রোধ করতে হবে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক বিষয়ে মৌলিক বই রচনা করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে নোট-গাইডের বেশ প্রাধান্য। সেটি আমাদের রোধ করতে হবে।’

‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজের শিক্ষার্থীরা যেন বিশ্ববিদ্যালয় মানের শিক্ষা লাভ করতে পারে সেই উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে প্রত্যেকটি বিভাগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস করা যায় কি না সেটা নিয়েও পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় মানের শিক্ষা লাভ করতে পারবে।’

‘শিক্ষকদের দায়িত্ব নিয়ে পাঠদান করতে হবে’

শিক্ষকদের শুধু চাকরির মানসিকতা নিয়ে পাঠদান করলে হবে না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের দায়িত্ব নিয়ে পাঠদান করতে হবে। শুধু চাকরি হিসেবে কাজ করলে হবে না। বর্তমান সময় তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তাও শিক্ষা দান করা যায়।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশীদ বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্য চ্যালেঞ্জ ছিল সেশনজট নির্মূল করা, ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে সেই সেশনজট দূর করা হয়েছে।

‘বর্তমানে একাডেমি ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা হচ্ছে। সেখানে সারা বছরের ভর্তি, পরীক্ষা, ফল প্রকাশসহ একাডেমিক সকল কার্যক্রমের অগ্রিম দিন-তারিখ ঘোষণা করা হচ্ছে।’

২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭১৮টি স্নাতক (সম্মান) পাঠদানকারী কলেজের মধ্যে জাতীয়ভিত্তিক স্কোরে ২০১৭ সালের ৫টি সেরা কলেজ, ১টি সেরা মহিলা কলেজ, ১টি সেরা সরকারি কলেজ ও ১টি সেরা বেসরকারি কলেজের নাম ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন র‌্যাংকিংয়ে অঞ্চলভিত্তিক সেরা আরও ৬৮টি কলেজের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে এসব কলেজকে অ্যাওয়ার্ড, সনদ ও চেক তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

ঢাকাটাইমস/০২মার্চ/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :