জেলেদের নৌকা-জাল ডাঙায়

শরীফুল ইসলাম, চাঁদপুর
 | প্রকাশিত : ০৩ মার্চ ২০১৯, ২১:১৬

পদ্মা-মেঘনায় মৎস্য অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন ও ইলিশের পোনা জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম চলছে। ‘কোনো জাল ফেলব না, জাটকা মাছ ধরব না’ প্রতিপাদ্যে এ কার্যক্রমের আওতায় মার্চ-এপ্রিল দুইমাস নদীতে সকল ধরনের জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে।

গত ১ মার্চ শুরু হওয়া সরকারি এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ও হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী থেকে লক্ষীপুর জেলার চরআলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নদী এলাকাও এর আওতাধীন। ফলে জেলার নিবন্ধিত ৫১ হাজার জেলে তাদের জাল-নৌকা এই দুইমাসের জন্য গুটিয়ে রেখেছেন।

গত দুদিন চাঁদপুর শহরের লঞ্চ টার্মিনাল ঘাট এলাকার টিলাবাড়ি, তরপুরচ-ী ইউনিয়নের আনন্দবাজার, লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়ন, হানারচর ইউনিয়নের হরিনা ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নদীতে মাছ আহরণ করা জেলে নৌকা ধুয়ে-মুছে ডাঙ্গায় তুলে রেখেছেন। নদী সংলগ্ন বিভিন্ন খালগুলোতেও অনেক নৌকা জড়ো করে এবং জালগুলো মেরামতে নদীপাড়ের সমতল ভূমিতে বিছিয়ে রাখা হয়েছে।

নদী সংলগ্ন ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে নদীতে না নামা ও জাটকা না আহরণের ক্ষতিপূরণে সরকারের বরাদ্দকৃত পুনর্বাসনের চাল জেলেদের মাঝে বিতরণ কার্যক্রমও চলছে। প্রতিটি জেলে পরিবার ৪০ কেজি করে চাল পাচ্ছে। জেলেরা এ দুমাস সরকারের দেওয়া অন্য সকল সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করবেন।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী বলেন, ‘এবারের অভয়াশ্রম ও জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করছে জেলা টাস্কফোর্স কমিটি। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, জেলা মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সম্মিলিতভাবে নদীতে অভিযানও চালাচ্ছেন। নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন সময়ে দিনে ও রাতে চারটি করে টিম নদীতে থাকছে। নদীর পাড়ে ১৫টি স্পটে অস্থায়ী ক্যাম্পও করা হয়েছে।

কোনোভাবেই এই দুই মাস কাউকে মাছ ধরতে দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/০৩মার্চ/প্রতিবেদক/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :