বাংলাদেশে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার তৈরিতে আগ্রহী জাপানের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান
বিশ্বমানের ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজের জন্য বাংলাদেশে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার তৈরিতে আগ্রহী জাপানের হলোর টেকনোলজি। ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে এ দেশের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে তৈরিতেও সাহায্য করতে চায় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।
রবিবার রাতে রাজশাহীর ওয়ারিশন হোটেলে মতবিনিময় সভায় বিষয়টি জানান হলোর টেকনোলজির চিফ অপারেটিং অফিসার মিতসুমাসা ৎসুৎসুই।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পাঠদান করা হয়। তবে ইলেকট্রনিক্স চিপ ডিজাইনে (বিশেষ করে এনালগ সার্কিট ডিজাইন) বিশ্বমানের ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজের জন্য যথেষ্ট নয়। যে সকল বিশ্ববিদ্যালয় আগ্রহী, তাদের আমরা পরামর্শ এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজের উপযোগী করে তুলতে চাই।’
এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বর্তমান প্রতিযোগিতাপ‚র্ণ বিশে^ দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তৈরি হতে পারবেন বলেও তিনি আশাবাদী ।
মিতসুমাসা ৎসুৎসুই আরও জানান, এই কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)। প্রাথমিক উদ্যোগ হিসেবে ইতোমধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্টনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তার প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশন্যাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) সঙ্গেও সমঝোতা চুক্তির কথা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি।
জাপানের ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রখ্যাত প্রযুক্তিবিদ হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি রয়েছে মিতসুমাসা ৎসুৎসুইর। এর আগে তিনি জাপানের বিখ্যাত ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি তোসিবায় ৩২ বছর কাজ করেন। সেখানে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে হলোর টেকনোলজি গড়ে তোলেন তিনি।
হলোর টেকনোলজি ও মিতসুমাসা ৎসুৎসুইকে বাংলাদেশে উদ্যোগের ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলেন প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলাম।
আশরাফুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ ও ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি গত সাত বছর ধরে ইলেক্ট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজে চিপ ডিজাইনের কাজ করে যাচ্ছেন। তৌহিদুল ইসলাম রাবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।
(ঢাকাটাইমস/০৪মার্চ/প্রতিবেদক/এআর)