শাশুড়িসহ তিন হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
রাজধানীর চকবাজারে শাশুড়িসহ তিনজনকে হত্যার অভিযোগে আল ইসলাম জীবন নামে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফারহানা ফেরদৌস কারাগারে থাকা এ আসামির উপস্থিতে রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জীবন শরীয়তপুরের জাজিরা থানার কাদির সরদারকান্দি গ্রামের নুরুল হক সরদারের ছেলে। তিনি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী থানাধীন শুভচুনি চুইয়াপাড়া গ্রামের নিহত রাশিদা বেগমের মেয়ের জামাই।
২০১৬ সালের ৪ জুলাই চকবাজারের পশ্চিম ইসলামবাগের ১২/২/এ, ইছহাক বাপারীর বাড়ির চতুর্থ তলায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী থানাধীন শুভচুনি চুইয়াপাড়া গ্রামের রাশিদা বেগম চকবাজারের পশ্চিম ইসলামবাগের ১২/২/এ, ইছহাক বাপারীর বাড়ির চতুর্থ তলায় থাকতেন। তার এক মেয়ে সুমি ২০১৫ সালে সন্তান প্রসবের সময় মারা যান। সুমি মারা যাওয়ার পর সুমির দুই সন্তান জুঁই ও সানী নানি রাশিদা বেগমের কাছে ছিল। সুমির স্বামী আল ইসলাম জীবন সন্তাদের নিজের হেফাজতে নেওয়ার জন্য মামলা করলেও তিনি মাদকাসক্ত হওয়ায় আদালত ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত নানির হেফাজতে থাকার আদেশ দেয়। কিন্তু তারপরও জীবন সন্তানদের নিজের হেফাজতে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে আসছিলেন।
২০১৬ সালের ৪ জুলাই দুপুরে জীবন ওই বাসায় এসে শিশু সন্তানদের নিজের হেফাজতে নিয়ে যেতে জোরাজুরি শুরু করেন। ওই ঘটনায় রাশেদা বেগম ও তার মেয়ে সীমা এবং নাতনি বন্যা বাধা দিলে জীবন রামদা দিয়ে তাদের কোপান। ঘটনাস্থলেই রাশেদার মৃত্যু হয় এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বন্যা ও সীমা মারা যান।
ওই ঘটনার পর চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই শাহবুদ্দিন। ওই বছরের ৯ আগস্ট আসামি জীনব গ্রেপ্তার হয়ে দুই দিনের রিমান্ডের পর আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
মামলাটি তদন্তের পর একই বছর ২৫ ডিসেম্বর আদালতে জীবনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন চকবাজার থানার এসআই আব্দুল হক। পরে ২০১৭ সালের ৯ মে আদালত আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন। মামলাটির বিচারকালে আদালত চার্জশিটের ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর মাজহারুল হক এবং আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী জামিল আহমেদ।
(ঢাকাটাইমস/০৫মার্চ/আরজেড/জেবি)