ফিরে আসুন সৃষ্টিশীল জননেতা!

শাহ মো. আরিফুল আবেদ
| আপডেট : ০৫ মার্চ ২০১৯, ২১:০৪ | প্রকাশিত : ০৫ মার্চ ২০১৯, ১৮:৪০

এক.

বাংলাদেশের রাজনীতিতে লেখাপড়া জানা লোকের বেশ অভাব রয়েছে। বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, জাতীয় সংসদে ৭০ ভাগের অধিক সংসদ সদস্যের পেশা ব্যবসা। মননশীলতার চর্চা বর্তমান রাজনীতিতে ততটা লক্ষ করা যায় না; সৃষ্টিশীলতা তো সুদূর পরাহত। তবে কেউ কেউ শত প্রতিকূলতার মাঝেও এসবের চর্চা করে থাকেন।

‘সৃষ্টিশীলতা’ এবং ‘সৃষ্টিশীল কারা’ এই প্রসঙ্গে লাতিন আমেরিকান লেখক এদুয়ার্দো গালিয়ানো তাঁর ‘মিরারস’ গ্রন্থে বিস্তর আলোচনা করেছেন। গবেষক-সমালোচক আজফার হোসেন উক্ত গ্রন্থ আলোচনায় নিজ ব্লগে লিখেন, ‘গালিয়ানোর মতে, মানুষের ইতিহাস এও প্রমাণ করেছে যে, কেবল কবিরাই সৃষ্টিশীল নন, কেবল আঁকিয়েরাই সৃষ্টিশীল নন, বা কেবল সঙ্গীতকাররাই সৃষ্টিশীল নন। তাঁরা সৃষ্টিশীল তো বটেই এবং মানুষের ইতিহাসে তাঁদের বিভিন্ন মহৎ অবদানকে অস্বীকার করার অর্থ মানুষকেই অস্বীকার করা। কিন্তু গালিয়ানো এও বোঝান যে, তাঁদের কর্মকা-ের বাইরেও সৃষ্টিশীলতা থাকে। তার সাক্ষী ইতিহাস নিজেই।

‘অর্থাৎ মানুষের অনুশীলনের ইতিহাসই স্পষ্ট করে বলে দেয় যে, সৃষ্টিশীল হতে পারেন একজন গাণিতিক যেমন, একজন কৃষকও তেমনি; সৃষ্টিশীল হতে পারেন একজন দার্শনিক যেমনি, একজন মেকানিকও তেমনি; সৃষ্টিশীল হতে পারেন একজন শিক্ষক যেমনি, একজন সাংবাদিক বা একজন প্রুফরিডারও তেমনি। যেমন সৃষ্টিশীল হতে পারেন একজন মা, বা যিনি, ধরা যাক, একটা ভীষণ গরিব সংসারের হাল ধরেন। বা একজন মাঝি যিনি নদীর বুকে ঝড়ের সাথে যুদ্ধ করেন। সৃষ্টিশীল হতে পারেন একজন রাজনীতিবিদও, যেমন সৃষ্টিশীল হতে পারেন একজন খেলোয়াড়, একজন অভিনেতা, একজন অর্থনীতিবিদ, একজন ব্যবস্থাপক, একজন সৈনিক।’

যে কেউ নিজের উদ্ভাবনী ক্ষমতায় সৃষ্টিশীল হওয়ার যোগ্যতা রাখে। আমাদের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাদুল কাদের একজন সৃষ্টিশীল মানুষ; রাজনীতির অঙ্গনে বিরল এক চরিত্র। প্রচলিত অর্থে যদিও কবি, লেখক, চিত্রশিল্পী, সংগীতকার, স্থপতি প্রমুখকে সৃষ্টিশীল হিসেবে বিবেচনা করা হয়, জনাব কাদেরকেও কিছু লেখালেখি করতে দেখা যায়। কিন্তু লেখালেখির জন্য তাঁকে সৃষ্টিশীল রাজনীতিবিদ বলতে হবে বিষয়টি এমন নয়, বরং লেখালেখির সুবাদে তাঁকে মননশীল রাজনীতিবিদ বলা অধিকতর শ্রেয়। তবে গালিয়ানোর মতে সৃষ্টিশীল রাজনীতিবিদের লক্ষণ ওবায়দুল কাদেরের মাঝে বিদ্যমান।

ওবায়দুল কাদেরকে দেখা যায়, প্রথাগত ধারা ভাঙতে চান তিনি। সাধারণ জনতার জন্য প্রযোজ্য নয় কিন্তু সাংগঠনিক পর্যায়ে ‘ভাই’ সম্বোধনের চেয়ে ‘স্যার’ প্রাধান্য দিতেন; এতে এক ধরনের চেইন অব কমান্ড কাজ করত। আবার দাপ্তরিক কাজে হুটহাট করে নেমে পড়তেন রাস্তায়। গাড়ির ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করেন; মিটারে না চলায় সিএনজি চালককে ভর্ৎসনা করেন; যখন-তখন হানা দেন সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে। অনিয়ম-অভিযোগের ব্যাপারে তড়িত ব্যবস্থা আর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাঁর নিজস্ব ভঙ্গির হুমকি-ধমকি এমন নানাবিধ নিত্যকর্মের চিত্র বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে তার। কখনো কখনো সরকারি প্রটোকল ভেঙে সাধারণের সাথে গণপরিবহনে উঠে পড়েছেন। আমজনতা এ জন্য আড়ালে তাঁকে ‘ফাটাকেষ্ট’ নামে সম্বোধন করে।

উপমহাদেশে ক্ষমতাবান মানুষদের জনসাধারণের সাথে মিশে যাওয়ার উদাহরণ খুব বেশি উল্লেখ করার মতো নেই। বিশেষ করে বাংলাদেশে মন্ত্রী-এমপি-ভিআইপিদের উলটো পথে যান চলাচল দেখে সাধারণ জনগণ অভ্যস্ত। ওবায়দুল কাদেরের মতো রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও নেতা যখন রাস্তায় নেমে পড়েন মানুষের দুঃখ-দুর্দশা এবং অনিয়ম-অভিযোগ দেখার জন্য তখন তা অনেক বড় এক বার্তা দেয় সরকারের সব মহলে। মন্ত্রী অনেক আছেন, তবে নিজের কাজকে সৃষ্টিশীল উপায়ে সম্পন্ন করতে পারেন কয়জন? বাংলাদেশের রাজনীতিতে ওবায়দুল কাদের একজন সৃষ্টিশীল নেতা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

দুই.

একুশ শতকের বিশেষ করে দ্বিতীয় দশকে পুরো পৃথিবী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে বলা যায়। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিংকডইন ইত্যাদি নানা সোস্যাল নেটওয়ার্কিং মাধ্যম ব্যবহার নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক আছে; আছে রক্ষণশীল-উদারবাদী পক্ষ। তবে তারুণ্যের ঝোঁক জাকারবার্গের দিকে। যদিও আমাদের অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক তরুণদের এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেন না, তবে তাঁরা ব্যবহারে ততটা স্বচ্ছন্দও নন। অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সামষ্টিক জনরুচি ও স্বাধীন মত প্রকাশের শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হলেও অনেকে এটিকে লঘু মাধ্যম হিসেবে গণ্য করে। রাষ্ট্রের অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা তারকাদের জীবন এবং সাধারণ মানুষের গার্হস্থ্য জীবনের যে ব্যবধান তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনেকটা দূর করেছে। তবে সাধারণ নেটিজেন এবং সেলেব্রেটি বা পলিটিসিয়ান উভয়ই পরস্পরের কাছাকাছি আসার সুযোগ পায় এতে। অসুবিধা হলো, সাধারণ নেটিজেনরা ট্রোল বা মিম-এর মাধ্যমে নিজেদের পছন্দ ও অপছন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে অনেক সময় তারকাদের বিব্রতকর পরিস্থিতে ফেলে। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা কম-বেশি সবাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকেন।

জনাব ওবায়দুল কাদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যথেষ্ট সক্রিয় থাকতে দেখা যায়। ব্যক্তিগত-দাপ্তরিক কর্মকা- ও ছবি প্রকাশ করে তিনি সাধারণের সাথে দূরত্ব ঘুচিয়ে তারুণ্যের অভিরুচিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যক্তিগত প্রোফাইলে গেলে দেখা যায় তিনি বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড দিয়েছেন। একজন সাধারণ তরুণ যেমনভাবে আলোকচিত্রে নিজেকে প্রকাশ করতে ক্যামেরার সামনে ধরা দিতে চায়- জনাব ওবায়দুল কাদের তেমনিভাবে যুগের সাথে হালনাগাদ থেকেছেন। নেতৃত্বের মহৎ গুণাবলির একটি হলো তারুণ্যের সাথে সহজে মিশতে পারা। প্রগতির অর্থই হলো অতীত ও বর্তমানকে ধারণ করে ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হওয়া। রাজনীতিবিদ ওবায়দুল কাদের সমকালের হাওয়া ঠিকই বুঝতে পারেন - তাই অনেক সমালোচনা ট্রোল বা মিম-এর শিকার হয়েও দিনের পর দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থেকেছেন। একজন নেতার তো ডিজিটাল বিশ্বে এমনই হওয়ার কথা।

তিন.

বাংলাদেশের রাজনীতিতে মেধাবী ছাত্রনেতৃত্ব প্রয়োজন। ছাত্রনেতৃত্ব থেকে উঠে এসে মূল দলের দ্বিতীয় কান্ডারি হওয়ার পথ সহজ ছিল না। জনাব ওবায়দুল কাদের উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় স্থান লাভ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্রজীবনে পরপর দুবার ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ছাত্রসংগঠনের নেতৃত্ব থেকে মূল দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসার উদাহরণ হলেন জনাব ওবায়দুল কাদের। একজন মেধাবী ছাত্র যখন রাজনীতির বন্ধুর পথ বেয়ে দেশের নেতৃত্বে আসেন তখন জাতি নবদিশা লাভ করে। রাজনীতির মাঠে জনাব ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য ও বাচনভঙ্গি বিশ্লেষণে তাঁর অসাধারণ বাগ্মীতার পরিচয় পাওয়া যায়। কাব্যিক শব্দচয়ন, পঙ্্ক্তি উদ্ধৃতি, মনীষীদের বাণী প্রভৃতি প্রয়োগে এবং কণ্ঠস্বরের সাংগীতিক ব্যবহারে তাঁর বক্তব্য হয়ে উঠেছে সুশ্রাব্য। এমন কয়েকজন সুশিক্ষিত ও মেধাবী নেতা পাশে থাকলে দেশকে এগিয়ে নিতে কোনো রাষ্ট্রনায়ককেই বেগ পেতে হয় না। দলে তাঁর শ্রম-ঘাম-নিষ্ঠার অবদানের কথা অব্যক্তই না হয় রইল।

চার.

মানুষের দৈহিক গঠন যেমনই হোক প্রত্যেকেই আপন হাতে সাড়ে তিন হাত মাত্র। এই সাড়ে তিন হাত শরীরে জনাব ওবায়দুল কাদের ৫৩টি স্প্রিন্টার বহন করে চলেছেন সেই ২০০৪ সাল থেকে। ছাত্রজীবন থেকে জেলখানাকে সঙ্গী করে বেড়ে উঠেছেন। এক-এগারোর সময় অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করেছেন। নিঃসন্তান জীবনে রাজনীতি ও দেশসেবাকেই পাথেয় করে নিয়েছেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানার মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) অধিনায়ক ছিলেন জনাব কাদের। তাঁর আজীবন ধ্যান-জ্ঞান ছিল লেখালেখি, তাই জড়িয়ে ছিলেন সাংবাদিকতায়। কর্মীদের যেকোনো বিপদে-আপদে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নিঃসঙ্কচিত্তে। দলের দুর্যোগময় মুহূর্তে বিরোধী দলে থাকাকালীন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর অনলবর্ষী বক্তৃতা ২০০১ পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের মনে সাহস জুগিয়েছে। একটি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়া সহজ কথা নয়। দলের প্রতি কতটা আত্মনিবেদন, একনিষ্ঠতা, আনুগত্য, ত্যাগ, শ্রম প্রয়োজন তা ওবায়দুল কাদেরের বর্ণিল রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বিশ্লে¬ষণ করলে তা অনুধাবন হয়। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে- মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, এর অন্যতম একজন সদস্য হলেন তিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদেশ-নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালনের মাধ্যমে দেশের অন্যতম বৃহত্তম দল আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কোন্দল নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন জনাব কাদের। ২০০৯ পরবর্তী দলের ঐক্য গঠনে সাংগঠনিক ভূমিকা পালনের মাধ্যমে আজকে আওয়ামী লীগকে টানা তৃতীয়বার সরকারে নিয়ে আসার পেছনে তাঁর ভূমিকা ভুলে গেলে চলবে না। ব্যক্তিমানুষ নিয়ে নানা সমালোচনা থাকতে পারে তবে দলের প্রতি তাঁর একনিষ্ঠ অবদান স্বীকার করে নিতে হবে।

পাঁচ.

আওয়ামী লীগ অল্প কিছুদিন আগে কিংবদন্তি নেতা সৈয়দ আশরাফকে হারিয়েছে। এমন শোকের সময়ে বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের অসুস্থতার খবর সবার মনকে ব্যথাতুর করে তুলেছে নিঃসন্দেহে। নশ্বর মানবজীবনের জীবন-মৃত্যুর নিয়তিকে লঙ্ঘন করার সাধ্য কারো নেই। আগে থেকেই ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা বেশি ভালো ছিল না, গণমাধ্যমে তাঁর সরব উপস্থিতির কারণে কেউ তা বুঝতে পারেনি। ফলে হঠাৎ হাসপাতালে ভর্তি এবং হার্টে ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়া- দেশের সবাইকে হতবাক করে দেয়। তিনি এখন সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা হৃদয়ে আশার চোখ নিয়ে সেদিকে তাকিয়ে আছি।

ছয়.

জনাব ওবায়দুল কাদের, আপনি আমাদের মাঝে ফিরে আসুন সেই চিরচেনা রূপে। আপনার কাব্যিক বাণী শোনার জন্য দেশের জনগণ পথ চেয়ে আছে। আমজনতার প্রিয় নেতা, আপনাকে জননেত্রীর পাশে ভীষণ প্রয়োজন। মাদক, দুর্নীতিবাজদের নির্মূল করার মিশনে আপনার উপস্থিতি খুবই জরুরি। আপনি সাধারণ মানুষের মতো সব প্রটোকল ভেঙে রাস্তার ধারে কোনো এক টং দোকানে হুটহাট রংচা পান করবেন- আর ভেঙে দেবেন তৃতীয় বিশ্বের ক্ষমতার অদৃশ্য ও দৃশ্যমান অন্তর্কাঠামো। আপনার দৃপ্ত পথচলা আমাদের মতো আমজনতার কাছে বড় চিত্তাকর্ষক ও চোখের জন্য আরামদায়ক দৃশ্যকাব্য হয়ে ফুটে ওঠে। জনগণের মিছিলে পুনঃপুনঃ জীবনানন্দ দাশের কবিতা শুনাতে ফিরে আসুন প্রিয় সৃষ্টিশীল জননেতা- ‘জনতার ফাটাকেষ্ট’!

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :