গোদাগাড়ীতে আ.লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর প্রচারে হামলার অভিযোগ
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী বদিউজ্জামানের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর, প্রচার গাড়িতে হামলা, কর্মীদের মারধর ও প্রচার মাইক ভাঙচুর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার বিকালেও উপজেলার বাসুদেবপুর কামারপাড়া এলাকায় বদিউজ্জামানের একটি প্রচার মাইক ভেঙে ফেলা হয়। একটি অটোরিকশায় করে প্রচার চলানো হচ্ছিল। হামলাকারীরা সেই গাড়িটিও ভাঙচুর করেছে। একই এলাকায় বিকেলে দুইটি মাইক্রোবাসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।
আগামী ১০ মার্চ অনুষ্ঠেয় গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান।
বদিউজ্জামান বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলা সদরে তার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে তার গোদাগাড়ী সদর ইউনিয়নের কার্যালয় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে কামারপাড়া এলাকায় তার কর্মীরা আনারস প্রতীকের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সেখানে হামলা চালানো হয়।
হামলায় তাদের তিনজন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের একজনকে গোদাগাড়ীতে ৩১ শয্যার হাসপাতালে ও অপর দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল আকতার বলেন, হামলার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছেন, সেখানকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, বিকালের ঘটনার খবরটি তারা পেয়েছেন। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামও একই কথা বলেছেন।
সম্প্রতি গোদাগাড়ীতে এক সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী দলের কর্মীদের বিদ্রোহী প্রার্থী বদিউজ্জামানকে যেখানেই দেখা যাবে সেখানেই চিকিৎসা দিতে বলেন। তিনি বলেন,এমন চিকিৎসা দেবেন যেন বদিউজ্জামান বিছানায় থাকেন।
বিষয়টি গণমাধ্যমে এলে ওমর ফারুক চৌধুরীকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
ঢাকাটাইমস/০৫মার্চ/ইএস