ফরমায়েশি বিরোধী দলে সংসদ প্রাণবন্ত হবে না: ইনু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ মার্চ ২০১৯, ২২:৩৮ | প্রকাশিত : ০৬ মার্চ ২০১৯, ২২:৩৫
ফাইল ছবি

মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে সংসদে প্রধান বিরোধী দলীয় আসনে বসানোর সমালোচনা করেছেন জাসদ সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ১৪ দলকে অবহেলা করা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে বলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সতর্ক করেছেন তিনি।

বুধবার রাতে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বক্তৃতা করছিলেন হাসানুল হক ইনু। তবে সরকারের হালকা সমালোচনা করলেও তার বক্তব্যের বেশির ভাগজুড়েই ছিল সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি-জামায়াতের কড়া সমালোচনা।

মহাজোট সরকারের শরিক হিসেবে জাসদের হাসানুল হক ইনু এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বিগত সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তবে এবারের মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগ তাদের শরিকদের কাউকে রাখেনি। ক্ষমতাসীন দলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শরিক দলের সাবেক মন্ত্রীরা। তাদের বক্তব্যে সেই ক্ষুব্ধতার প্রকাশ ঘটে প্রায়ই।

বুধবার বরিশালে এক বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। এবারের নির্বাচনে রাতে নয়, দিনে ভোট ডাকাতি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাবেক এই মন্ত্রী। তার এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি করেছে তোলপাড়।

সংসদের বক্তব্যে ইনু আওয়ামী লীগের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মহাজোট ১৪ দলের ঐক্যের শক্তিতে বিজয়ী হওয়ার পর ঐক্যকে কার্যকর রাখতে পারেনি। পরাজিত শক্তির পুনরুত্থান বন্ধে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং ঐক্য নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। মহাজোটে ১৪ দলকে অবহেলা করা হবে আত্মঘাতী।’

সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর ছোটদের আড়ি আড়ি খেলার মতো ফরমায়েশি বিরোধী দলের স্বীকৃতি সংসদকে প্রাণবন্ত করবে না।’

সাফল্যের পরও ক্ষেত্র বিশেষে সরকারে কিছু ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন সাবেক এই মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আইনের শাসন, সুশাসনে ঘাটতি রয়েছে। দলবাজি ক্ষমতাবাজি দমনে খাটতি রয়েছে। ঘাটতি নিয়ে আমরা নতুন পাঁচ বছরে প্রবেশ করতে যাচ্ছি।’

ইনু বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসাকে রাষ্ট্রীয় নজরদারিতে আনার প্রশংসা করছি। তবে তেঁতুল কর্তাকে প্রশ্রয় দেওয়া আত্মঘাতী। আমি এতে সমর্থন করি না। জঙ্গি মাদককে যেমন কোনো রকম ছাড় দেওয়া যায় না, তেমনি তেঁতুল কর্তাকেও কোনো রকম ছাড় দেওয়া যায় না।’

বিগত নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিএনপি-জামায়াত জোটের কড়া সমালোচনা করেন হাসানুল হক ইনু। বলেন, ‘নির্বাচনে ৪০ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র ছিল, মাত্র ২৫টির মতো কেন্দ্রে বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া কোনো ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনে অনিয়ম আবিষ্কার করার একটা অপচেষ্টা চলছে। ঐকফ্রন্ট গণশুনানি করেছে। এটা গণঘুমের শুনানিতে পরিণত হয়েছে। কাল্পনিক অভিযোগের ফিরিস্তি তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ যেন আকাশের ঠিকানায় চিঠি লেখার মতো।’

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘তারা কোনো এক অদৃশ্য গায়েবি শক্তির আশায় ছিল, তারা তাদের বিজয়ী করে দেবে। গায়েবি শক্তির আশায় বসে থাকা এবং কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের কোনো নির্দেশনা না পাওয়া এবং ঐক্যফ্রন্টের তর্জন গর্জন ফাঁকা বুলিতে পরিণত হওয়ায় মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা হতাশায় পড়েন। সে কারণেই বিএনপির এই ভরাডুবি। এর জন্য দায়ী কি নির্বাচন কমিশন? সরকার? না-কি জনগণ?’

(ঢাকাটাইমস/০৬মার্চ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

দেশের মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না: সালাম

নির্বাচনের পর বিরোধী দলগুলোর ওপর নানা কায়দায় নির্যাতন চালাচ্ছে আ.লীগ: মির্জা ফখরুল

বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী জনগণকে সরকার বন্দি করে রেখেছে: রিজভী 

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে আ.লীগের ‘মানা’

মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপি নেতা হাবিব কারাগারে

উপজেলা নির্বাচন সরকারের আরেকটা ‘ভাঁওতাবাজি': আমীর খসরু

বিচার না হওয়ায় চিকিৎসকদের ওপর হামলা বেড়েই চলছে: ড্যাব 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :