সুনামগঞ্জ পৌর শহরে তীব্র পানি সংকট

জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া, সুনামগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ০৬ মার্চ ২০১৯, ২২:৫৩

সুনামগঞ্জ পৌর শহরে পানি সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। চাহিদামত পানি সরবরাহ করতে না পৌর কর্তৃপক্ষ। ফলে পানির অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সুনামগঞ্জ পৌরসভায় বসবাসকারী প্রায় দুই লাখ মানুষ। তাদের প্রতিদিন পানি প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ লিটার। পৌরসভা থেকে সরবরাহ করা হয় মাত্র দেড় লাখ লিটার। নয় হাজার হোল্ডিংয়ের বিপরীতে মাত্র তিন হাজার গ্রাহককে পানি সরবরাহ করে পৌরসভা।

পৌরসভা চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ করতে না পারায় সাধারণ মানুষকে হাতচালিত নলকূপের পানির উপরই ভরসা করতে হয়।

সুনামগঞ্জ পৌরসভার পানি শাখার তথ্য অনুযায়ী, শহরে পৌরসভার মালিকানাধীন নলকূপ রয়েছে সাত শতাধিক। এর মধ্যে ১০০ নলকূপে স্বল্প পরিমাণ পানি উঠলেও ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াসহ বিভিন্ন ত্রুটির কারণে ছয় শতাধিক নলকূপে পানি উঠছে না। তাছাড়া রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার না হওয়ার কারণে আরো শতাধিক নলকূপ পরিত্যক্ত রয়েছে। এছাড়াও পৌর এলাকায় ব্যক্তিমালিকানাধীন পাঁচ শতাধিক নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে শ’খানেক নলকূপে পানি উঠছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

পৌরসভার পানি শাখার তত্ত্বাবধায়ক বজলুল হক জানান,‘বিশুদ্ধ পানি সংকট সমাধানে পৌর কর্তৃপক্ষ দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে শহরের ময়নার পয়েন্ট ও সুনামগঞ্জ জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় দুটি পানি শোধনাগারের কাজ বাস্তবায়ন করছে। যার মাধ্যমে তিন হাজারেরও অধিক গ্রাহকের পানি চাহিদা মেটানো যাবে। এছাড়াও পৌর এলাকায় পাঁচ শত গভীর নলকূপ স্থাপনের চাহিদা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছেন মেয়র নাদের বখত।’ গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বিশুদ্ধ পানির

তীব্র সংকটে ভুগছেন শহরের বড়পাড়া, আমপাড়া, মড়ল হাটি, পশ্চিম হাজিপাড়া, উকিলপাড়া, নতুনপাড়া, ষোলঘর, নবীনগর, বনানীপাড়াসহ ঘনবসিত এলাকার বাসিন্দারা।

শহরের জামতলা এলাকার সুমন জানান, ‘চাহিদামত পানি সরবরাহ করতে না পারায় মাইকিং করে পানি দিনে একবেলা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভা আগে আমাদের দিনে দুইবার পানি দিত- যা আমাদের জন্য কষ্টকর। আমাদের এখন কষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।’

ষোলঘর এলাকার আতিকুর রহমান মান্না বলেন,‘পানির অভাবে গোসল, রান্নাবান্না, ধুয়ামুছার কাজের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পানি। কিন্তু সেই পানি আমরা পাচ্ছি না। কবে এই সমস্যার সমধান হবে বুঝতে পারছি না।’

সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, ‘পানির স্তর কমে যাওয়ায় পৌর এলাকায় পানি সরবহরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আগে আমরা দিনে দুইবার পানি দিতাম, কিন্তু এখন একবার দেয়া হবে। এজন্য বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এসমস্যার সমাধান হয়ে যাবে আমাদের হাসনগরস্থ নতুন পানি ট্যাংক তৈরি হয়ে গেলে।’

(ঢাকাটাইমস/৬মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :