৫৪ বছর পর যশোরে যাত্রাবিরতি বন্ধন এক্সপ্রেসের

যশোর প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ মার্চ ২০১৯, ১৯:৩৭

৫৪ বছর পর যশোর জংশনে যাত্রাবিরতি করলো কলকাতাগামী ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেস। তিন মিনিটের যাত্রাবিরতি শেষে বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটার দিকে ৩১জন যাত্রী নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয় ট্রেনটি।

কলকাতার সঙ্গে যশোরের যোগাযোগ আরও সহজ হওয়ায় এটিকে মাইলফলক হিসেবে দেখছেন যাত্রীরা।

যশোর জংশনের জন্য ২০০টি সিট বরাদ্দ রয়েছে। প্রতি বৃহস্পতিবার খুলনা-কলকাতা রুটে যশোরে তিন মিনিট যাত্রাবিরতি করবে ট্রেনটি। প্রথমদিন ৩১টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি এসি কেবিন ও ২৪টি এসি চেয়ার।

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যায় ভারতের সঙ্গে রেলযোগ ব্যবস্থা। ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর খুলনা-কলকাতা রুটে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটির চলাচল শুরু হয়। এরপর থেকেই যশোরে যাত্রাবিরতির দাবি ওঠে।

৫৪ বছর পর যশোর জংশন থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন দেখতে দুপুর দুইটার পর থেকেই উপচেপড়া ভিড় জমে যায়। খুলনা থেকে ছেড়ে আসা বন্ধন এক্সপ্রেসের কলকাতার যাত্রী ও তাদের স্বজন ছাড়াও উৎসুক জনতা ছিলেন জংশনে।

ট্রেনযাত্রী যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকার আফরোজা বেগম জানান, পরিবারের সাত সদস্যের সঙ্গে কলকাতায় যাচ্ছেন। অপেক্ষায় আছেন, কখন ট্রেন আসবে।

আফরোজা বেগম বলেন, ‘আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চে যশোর থেকে কলকাতা ট্রেনযাত্রা শুরু হলো। এটি যশোরবাসীর জন্য গর্বের। আমি নিজেও খুব খুশি। একদিনের পরিবর্তে দুইদিন ট্রেন সার্ভিস চালু হলে আরও সুবিধা হতো।’

যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বলেন, ‘যশোর থেকে ট্রেনে কলকাতায় যাচ্ছি, এটা ভাবতেই ভালো লাগছে। ট্রেনের টিকিটের দাম একটু কমালে ভাল হতো। আশা করি, এই সার্ভিস জনপ্রিয় হবে।’

ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নন্দিত এই উদ্যোগে বৃহত্তর যশোরবাসীর খুবই উপকার হলো। এই জংশনে যাত্রীদের ওয়েটিং রুম নেই। জংশনকে আধুনিকায়ন করে সেবার মান আরও বাড়াতে হবে। তাহলে আরও জনপ্রিয় হবে। বর্তমানে ২০০টি সিট বরাদ্দ আছে। আমি মনে করি, আগামী ছয়মাসের মধ্যে এখানে যাত্রীর সংখ্যা ৫০০ জন হবে। ট্রেনে কোনো লস হবে না। এজন্য রেলের কর্মকর্তাদের আরও আন্তরিক হতে হবে।’

যশোর রেলওয়ে জংশনের ম্যানেজার পুষ্পল কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘কলকাতাগামী যাত্রীদের ওয়েটিং রুমসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি, দ্রুত সমাধান হবে।’

রেলস্টেশনের টিকিট কালেক্টরেট সাহিদা বেগম বলেন, ‘৩৫ বছর ধরে রেলে চাকরি করছি। দেশের অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রাবিরতি ও ছেড়ে যাওয়ার সময় মাইকে ঘোষণা করি। এবারই প্রথম কোনো বিদেশগামী ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলাম। খুব ভালো লাগছে।’

(ঢাকাটাইমস/০৭মার্চ/প্রতিবেদক/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :