নারী সহিংসতা ও প্রতিকারের সুলুকসন্ধান

প্রকাশ | ০৭ মার্চ ২০১৯, ২১:০৬

খন্দকার ফারজানা রহমান

‘চিৎকার করো মেয়ে- দেখি কতদূর গলা যায়/আমাদের শুধু মোমবাতি হাতে নীরব থাকার দায়।’ এই বাক্যদ্বয়ে ফুটে উঠেছে ভয়ার্ত এক চিত্র, যেখানে নারীর আর্তি সমাজের দায়বোধের কাঠগড়ায় মূল্যহীন। অথচ এই নারীই কিনা সেই সমাজের জন্মধাত্রী। তারই যাবতীয় উপাদানে আর প্রণোদনায় টিকে থাকে সমাজ। সেই সমাজই কখনও নারীকে মুখোমুখি করে দেয় এক রূঢ় প্রাণসংহারী বাস্তবতার। তাকে হতে হয় নানা রকম সহিংসতার শিকার। পুরুষতান্ত্রিকতার শিকল দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখা হয় নারীর মন আর শরীর।

নারীর ওপর সহিংসতা ছাড়া পৃথিবীতে যেন কোনও দিনেরই পূর্ণতা পায় না! প্রতিদিনই নারীরা সহিংসতার শিকার হচ্ছে। পরিবার থেকে রাস্তাঘাট, কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাঙ্গন- বাদ যাচ্ছে না কিছুই। এই আগ্রাসী থাবায় আক্রান্ত-বিপর্যস্ত নারীর পাশে কতোটা থাকছি আমরা? মাঝেমাঝে মোমবাতি হাতে রাস্তায় দাঁড়ানো আর  সামাজিক মাধ্যম গুলোতে সরব কিছু বিবৃতি দেয়া ছাড়া আমাদের যেন প্রতিবাদ করার কিছু নেই। নারীর নিস্তার যেন সহিংসতার মধ্য দিয়ে নিঃশেষ হয়ে যাওয়া! এসবেরই সুলুকসন্ধানের চেষ্টা করবো এই নিবন্ধে।

সাভাবিকভাবে বোধগম্য যে, নারী শিক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়নের দ্বার উন্মোচনের পরেও বাংলাদেশে নারী সমতা ও নারীর সুরক্ষা অনেক ক্ষেত্রে উপেক্ষিত । ফলত সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীর প্রতি সহিংসতার দায় নিতে হয় সেই ভুক্তভোগী নারীকেই। নারীর প্রতি সহিংসতা বলতে আমরা বুঝবো- খুন, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, যৌন নিপীড়ন, অ্যাসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ বা নিপীড়নের হুমকি, বাল্যবিয়ে, যৌতুক, পারিবারিক ও নানাভাবে মানসিক নির্যাতন। এবার এসবের ব্যবচ্ছেদ করা যাক।

যে কোনও ধরণের সহিংসতাই সমাজের জন্য হুমকিস্বরূপ। বিরূপ এই প্রতিক্রিয়া ধীরে ধীরে সমাজের ক্ষুদ্রতম স্তর থেকে শুরু করে বৃহৎ পরিসরে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারী ও শিশুর প্রতি অসহনীয় অত্যাচার এবং একই সঙ্গে নারী-শিশু হত্যা ক্রমবর্ধমান হাড়ে বেড়েই চলছে। গৃহনির্যাতন, গৃহকর্মী হিসেবে নির্যাতন, ধর্ষণ ইত্যাদি পরবর্তী সময়ে হত্যাকান্ডের রূপচিত্র ধারণ করে। নারী এবং মেয়ে শিশুরাই বেশিরভাগ সহিংসতার শিকার হয়ে থাকেন। শিশু অধিকার ফোরাম নামে একটি সংস্থা ২০১৭ সালে একটি প্রতিবেদনে দেখায়, ৫৯৩টি ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে ২২ জন শিশুই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। একই ধরণের ২৫টি ঘটনা ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলে পরিলক্ষিত হয়। এই সময় পরিক্রমার মধ্যেই ১৭৬ শিশু ধর্ষিত হয় এবং ১০৯ শিশু খুন হয়।

বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরির (বিপিও) “শান্তি পরিস্থিতি ২০১৮” শীর্ষক প্রতিবেদনে বলে, ২০১৮ সালে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে মোট ৮০৩টি। এর মধ্যে ২৯৩ হত্যার শিকার হন। ৩৩৭ জনকে নির্মমভাবে আহত করা হয়। যৌন সহিংসতার ঘটনায় খুন হন ৪২ নারী এবং আহত হন ২৮৪ জন। তাছাড়া ২৬১ নারী বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

গেল বছর আইন ও সালিশ কেন্দ্র তাদের বাৎসরিক রিপোর্টে জানায়, মোট ৪০৯ জন নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন; যার মধ্যে ১৯৩ জন দ্বিতীয় স্বামীর দ্বারা হত্যার শিকার। পারিবারিক কারণে ১১৬ জন যৌন সহিংসতায় শিকার। আবার তাদের মধ্যে আত্মহত্যা করেন ৮ জন। আর স্বামী বা তার পরিবারের যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনে মারা যায় ৮৫ জন এবং ৮০ জন শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়।

এছাড়াও অধিকার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইউমেন লইয়ারস এসোসিয়েশন ইত্যাদি বিভিন্ন সংস্থাও নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতায় যেসব পরিসংখ্যান ফি বছর তুলে ধরেন তা উদ্বেগজনক। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির নানাবিধ কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রধান এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি’। আর এটি নারীর ওপর সহিংসতাকে আরো ভয়াবহ রূপধারণ করতে প্রণোদিত করছে।

বিচারহীনতার সংস্কৃতি

অপরাধীরা উপযুক্ত শাস্তি পাওয়ার পূর্বেই তারা আইনী প্রক্রিয়ার ফাঁকফোকড়ের সুবিধা নিয়ে বিচার প্রক্রিয়া থেকে খুব সহজেই শাস্তি ব্যতীত ছাড়া পেয়ে যায়। এক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উদাসীনতা বা অবহেলা অপরাধীদেরকে আরো ত্বরান্বিত করে। এর ফলশ্রুতিতে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি কখনোই উপযুক্ত বিচার পাচ্ছেন না। আর বিচারের বাইরে থাকার সুযোগে অপরাধীরা আরও নির্বিঘ্ন অপরাধ কাযক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

একটি জরিপে দেখা যায়, অক্টোবর ২০০২ থেকে অক্টোবর ২০১৬ পর্যন্ত নারী নির্যাতনের মোট ৭হাজার ৮৬৪টি মামলা হয়। র মধ্যে কেবলমাত্র ১১০টি মামলার রায়ে আসামীদের অভিযুক্ত হিসাবে দণ্ডিত করা হয়। কিন্তু অন্য মামলাগুলোয় অভিযুক্তদের বাকি ৯৭ শতাংশই বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পূর্বে অথবা পরে মুক্তি পেয়ে যায়।

এসবের পেছনে রয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মামলার সঠিক তদন্তে অবহেলা, সাক্ষ্যদানকারীর অভাব, ভুক্তভোগী ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিভিন্ন ধরনের হয়রানি মূলক আচরণ ইত্যাদি।

পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা

নারী নির্যাতনের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হচ্ছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। পুরুষ সবকিছুতে নিজেদেরকে নারীদের তুলনায় অধিক ক্ষমতাবান এবং নারীর উপর নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করে। পারিবারিক সিদ্ধান্তে মেয়েদের মতামত গ্রহণযোগ্য হয় না। তাদের মতে, মেয়েদের কাজ হচ্ছে চার দেয়ালের মধ্যে নিজেদের আবদ্ধ রাখা, রান্নাবান্না এবং শিশু লালন পালন, স্বামীর আদেশ মান্য করা। মহিলাদের নিজস্ব কোনও ইচ্ছা, মতামত, স্বাধীনতা থাকবে না। এমনকি ছোটবেলা থেকেই নারী ও পুরুষের সামাজিকীকরণও ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।

দরিদ্রতা এবং ধর্মীয় গোড়ামী

নারীর প্রতি সহিংসতার সাথে দারিদ্র ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পারিবারিক কলহের সূত্রপাত অধিকাংশ ক্ষেত্রে দরিদ্র্যতাকে কেন্দ্র করেই। শহরের বস্তি অঞ্চলে দেখা যায়, যেসব পরিবার দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে, সেসব পুরুষেরা বিভিন্ন ধরণের দিন-মজুরের কাজ করে এবং সেই টাকা পরিবারের পিছনে ব্যয় না করে নেশা করে বেড়ায়, জুয়া খেলে এবং তাদের স্ত্রীর উপর শারীরিক, মানসিক ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের পাশবিক নির্যাতন চালায়।

এছাড়াও গ্রামাঞ্চলে দেখা যায়, কিছু অজ্ঞ ও অর্ধশিক্ষিত মৌলভীরা নিজেদের মতো করে বিভিন্ন বিষয়ে ফতোয়া দিয়ে থাকেন; যেমন বিয়ের আগে মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে দেখা করতে পারবে না, মেয়েরা তালাক শব্দটি স্বামীর বিরুদ্ধে গিয়ে উচ্চারণ করতে পারবে না ইত্যাদি। তারা গ্রাম্য সালিশ বা পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের অযাচিত শাস্তিও মহিলাদেরকে দিয়ে থাকে।

নগরায়ন ও শিল্পায়নের প্রভাব

গ্রামীণ সংস্কৃতি ধীরে ধীরে লোপ পাচ্ছে এবং শহরাঞ্চলে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমা সংস্কৃতি স্থান করে নিচ্ছে। যৌথ পরিবারের তুলনায় একক পরিবার বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রামের মানুষ কর্মের খোঁজে এবং অধিকতর ভাল জীবিকা নির্বাহের জন্য শহরের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত লোকজনের সমাগমে বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা- যেমন ছিনতাই, রাহাজানি, চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ ইত্যাদি বৃদ্ধি পাচ্ছে। শহরাঞ্চলে বাবা-মা দুজনই কর্মজীবি হওয়ায় সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখা বা সন্তানের সঙ্গে পিতামাতার মধ্যে যথোপযুক্ত বন্ধনও গড়ে উঠছে না। অনেক সময় দেখা যায়, বাবা অথবা মা পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং তার জেরে অনেক সময় হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়।

নারীর ক্ষমতায়ন

বর্তমান যুগে, নারীরা উল্লেখযোগ্য হারে কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করছে। ফলে তাদের মধ্যে নিজেদের অধিকার সম্পর্কে এক ধরনের সচেতনাবোধ কাজ করছে। তারা পারিবারিক সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণ করছে, অর্থনৈতিকভাবে পরিবারকে সহায়তা করছে। পুরুষদের অত্যাচার নীরবে সহ্য না করে তারা প্রতিবাদী হচ্ছে।

বেশিরভাগ পুরুষ নারীদের এই স্বাধীনতা মেনে নিতে পারছে না। তার জের ধরেই পারিবারিক কলহে নিয়োজিত হয়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে নারীদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয় না। কর্মক্ষেত্রেও অনেক সময় নারীকে ছোট করে দেখা হয় এবং তাদেরকে উপযুক্ত সম্মানীও দেওয়া হয় না। বিশেষ করে বাংলাদেশের পোশাক খাতের নারী শ্রমিকরা এর উপযুক্ত উদাহরণ। যেখানে কয়েক কোটি অপারেটর থাকলেও সুপারভাইজর বা প্রোডাকশন এর ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

নৈতিক মূল্যবোধ ও শিক্ষার অভাব

অধিকাংশ পরিবারের শিশুদের সঠিক পারিবারিক শিক্ষা দেওয়া হয় না। শৈশব কাল থেকে ছেলে মেয়েদের সামাজিকরন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন খেলনা হিসাবে মেয়ে শিশু দের দেয়া হয় পুতুল আর ছেলে শিশু দের আমরা দিয়ে থাকি গাড়ি অথবা বন্দুক। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান যেমন, স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি ইত্যাদি যথাযথ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়।  সঠিক সামাজিকীকরন, পারস্পরিক সম্মান এবং নারী কে মানুষ হিসাবে মূল্যায়ন করার অভাবে নারীর প্রতি অবমাননা বাড়ছে।

প্রতিকারের উপায় কি

নারী ও নারীশিশুর প্রতি শারীরিক, মানসিক বা পাশবিক যে কোনও নির্যাতনই কাঙ্ক্ষিত নয়। এর থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের কিছু সঠিক এবং বাস্তবিক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো-

আইনের যথাযথ প্রয়োগ

বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে আরো অধিকতর জোর দিয়ে চিহ্নিত করা উচিত। তার জন্য আমাদের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও কর্মকর্তাদের যথেষ্ট তৎপর হতে হবে। ক্ষতিগ্রস্থ নারী ও শিশুরা যাতে সঠিক বিচার পায় তার জন্য মামলায় দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে আনতে হবে। ভুক্তভোগী নারীদের প্রয়োজনীয় আইনী সহায়তা দিতে হবে।

এতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর সাধারণ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস গড়ে উঠবে। অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০’ এর সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ক্ষেত্রে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ, আইনজীবি, প্রসিকিউটর ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে হবে। বিচার কার্যের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দল বা রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ নিরসন করতে হবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি লাঘব করতে হবে।

সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহে সচেতনতা

রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের উচিত জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা। পরিবার থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম এবং সরকারি বেসরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের স্বকীয় দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা। শিশুদের প্রাথমিক পারিবারিক শিক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি পরিবারেরই উচিত পরিবারের প্রতিটি সদস্যকেই নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষা দেওয়া।

পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব প্রতিহত করা

পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব একটি সামাজিক ব্যাধির মতো। সমাজের সর্বস্তরে নিম্নশ্রেণী থেকে শুরু করে উচ্চশ্রেণীর মধ্যে নারীদের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রাখার মনোভাব বিরাজমান। এই অবস্থায় প্রতিহত করার জন্য নারীর কাজের যথার্থ মূল্যায়ন করতে হবে, তাদের মতামত, স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দিয়ে নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে পারে।

শিশুর অধিকার সংরক্ষণ আলাদা শিশু কমিশন গঠন

শিশু এবং নারীদের অধিকার রক্ষায় অধিকাংশ মানবাধিকার সংগঠন, এনজিও এবং সুশীল সমাজের অন্যান্য সংগঠন নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা প্রতিষ্ঠান গঠনের সুপারিশ জানিয়েছেন। এই সমস্ত সুপারিশমালা আমলে নিয়ে অতিদ্রুত নীতিমালা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন।

আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও দিকনির্দেশনা

অপরাধীদের শাস্তি সুনিশ্চিত করতে সে আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও দিকনির্দেশনা রয়েছে তা গ্রহণে উৎসাহিত করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সরকারের সাথে গঠনমূলক আলোচনা করা।

লেখক: অপরাধ বিশ্লেষক, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়