নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে: ফখরুল

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০১৯, ১২:৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
মির্জা ফখরুল

বর্তমান সরকারের আমলে নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের শাসনকালে নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে। এই সময়ে নারী ও শিশুরা অতিমাত্রায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সময় নারী ও শিশুরা অতিমাত্রায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বন্দি। নারী হলেও তার ওপর করা হচ্ছে জুলুম। এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে।

১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সুতা কারখানার একদল শ্রমজীবী নারী মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং কর্মক্ষেত্রে বৈরী পরিবেশের প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের ওপরে দমন-পীড়ন চালায় মালিকপক্ষ।

নানা ঘটনার পরে ১৯০৮ সালে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ও রাজনীতিবিদ ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে প্রথম নারী সম্মেলন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘ দিনটিকে নারী দিবস হিসেবে পালন করছে।

সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে নিয়ে নারী দিবস পালিত হচ্ছে।

নারী দিবসের সফলতা কামনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব নারীর সুখী, সমৃদ্ধ ও সম্মানজনক জীবন কামনা করে তাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

ফখরুল বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। তবে বাংলাদেশের নারীরা সবসময়ই থেকেছে অবহেলিত। নারীদের কল্যাণে জিয়াউর রহমানের প্রশংসনীয় উদ্যোগে নারীরা আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন নারীদের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে যথাযথ উদ্যোগের কারণেই বাংলাদেশে পিছিয়ে থাকা নারীরা নিজেদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে নারীরা দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৮মার্চ/এমআর)