মির্জাপুরে দুই পক্ষের মারামারিতে সেনাসদস্য নিহত

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০১৯, ১৭:২৮

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় একজন সেনাসদস্য নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে। 

সেনাসদস্য আজিজুল ইসলাম (২৮) উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামের আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে। তিনি বগুড়া সেনানিবাসে আর্টিলারি কোরে কর্মরত ছিলেন।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ওই মারামারির ঘটনায় আহত হন আজিজুল ইসলাম। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করার পর বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

আহতদের তিনজনকে উপজেলার জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

মারামারির ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন দেওভোগ গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে বেলাল মিয়া (৬৫), ফিরোজ মোল্লার ছেলে খাইরুল মোল্লা (১৮), আমজাদ মোল্লার ছেলে আকরাম মোল্লা (১৯), রাজ্জাজ মোল্লার ছেলে মেহসীন মোল্লা (২৮) ও রফিক মোল্লার ছেলে লিটন মোল্লা (১৭)।

পুলিশ জানান, বুধবার রাতে দেওভোগ গ্রামের বাকী মোল্লার ছেলে কামরুল এবং আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে রাসেলের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। পরে স্থানীয় মাতব্বররা বিষয়টি মীমাংসার জন্য বৃহস্পতিবার সালিস বৈঠকের কথা বলেন। কিন্তু কামরুল বৈঠকের আগেই রাসেলের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে। 

রাসেলের বড় ভাই সেনাসদস্য আজিজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে ছুটিতে বাড়ি এসে এ ঘটনা জানতে পারেন। 

বিরোধ  মীমাংসার কথা হওয়ার পরও কেন তার ভাইকে মারা হলো তা জানতে শুক্রবার সকালে আজিজুল তার চাচাদের নিয়ে গ্রামের উত্তরপাড়া রফিক মোল্লার বাড়ির কাছে যান। সেখান একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে মারামারি শুরু হলে সেনাসদস্যসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ছয়জন আহত হয়।

মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আজিজুলকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ও অপর আহতদের মধ্যে তিনজনকে জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে আজিজুল ইসলামের মৃত্যু হয়। 

মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো নিহতের ঘটনায় লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/৮মার্চ/মোআ)