বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ
সাতক্ষীরার কলেজছাত্রের ত্রিখণ্ডিত মরদেহ খুলনায় উদ্ধার
বেড়ানোর কথা বলে নিজের মোটরসাইকেলে খুলনায় গিয়েছিলেন সাতক্ষীরার হাবিবুর রহমান সবুজ। তিনদিন পর তার বস্তাবন্দি খণ্ডিত মরদেহ খুলনা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সবুজের মরদেহ শনাক্ত করেছেন তার বাবা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ওমরাপাড়া গ্রামের আদুল হামিদ সরদার। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় খুলনা হাসপাতাল মর্গে।
সবুজ ঢাকায় লেখাপড়া করেন। কয়েকদিন আগে ক্যান্সার আক্রান্ত মা জাহানারা খাতুনকে দেখতে বাড়ি এসেছিলেন তিনি।
তবে সকালে সবুজের ফোন থেকে তাদের বাড়িতে একটি কল আসে। ফোনের ওই প্রান্ত থেকে বলা হয় ‘সবুজকে আমরা বেঁধে রেখেছি। ছয় লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
তার বাবা আব্দুল হামিদ জানান, মঙ্গলবার সকালে তার মাকে জানিয়ে নিজের মোটরসাইকেলে খুলনায় যায় সবুজ। পরদিন ফিরে আসার কথাও ছিল তার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ফিরে না আসায় তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় জিডি করেন। ওই রাতেই খুলনার ফারাজিপাড়া মোড়ে পলিথিনের বস্তায় মোড়ানো একটি ত্রিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে তিনি খুলনায় গিয়ে নিজের ছেলে হাবিবুর রহমান সবুজ বলে শনাক্ত করেন। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার তার খোঁজ জানতে খুলনায় ফোন করা হলে সাদি নামের এক ব্যক্তি ফোনটি রিসিভ করে জানান, ‘সবুজ মোস্তফা মামার সঙ্গে যশোর গেছেন’। এরপর থেকে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আবদুল হামিদ জানান, তার ছেলের সঙ্গে খুলনায় ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। এই মামলায় কিছুদিন আগে তার ছেলে জেলও খেটেছিল।
ব্যবসার টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে তার ছেলেকে খুলনায় কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সদর থানার ওসি আরও জানান, নিহত সবুজের মরদেহ শুক্রবার রাত সাতটার দিকে তার বাড়িতে আনা হয়েছে। রাতেই তার মরদেহ দাফন করা হবে বলে সবুজের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৮মার্চ/প্রতিবেদক/এআর)