দুএকদিনের মধ্যে কাদেরকে নেওয়া হবে কেবিনে

প্রকাশ | ০৯ মার্চ ২০১৯, ১২:১১ | আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯, ১২:১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দুএকদিনের মধ্যেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে কেবিনে নেওয়া হবে।

গণমাধ্যমে সেতু মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছেরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানানো হয়েছে। সিঙ্গাপুরে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় গঠিত পাঁচ সদস্যের চিকিৎসক দলের সিনিয়র সদস্য ডা. সিবাস্টিন কুমার সামিকে উদ্ধৃত করে সকালে কাদেরের শারীরিক সর্বশেষ অবস্থা সাংবাদিকদের জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক আবু নাসের রিজভী।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার নল খুলে ফেলা হয়েছে। এখন তিনি চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ‘সিঙ্গাপুরে কাদেরের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার (কাদের) রক্তচাপ স্বাভাবিক, হৃদযন্ত্র ও কিডনি কার্যক্ষম রয়েছে। ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এছাড়া নিওরোলজিক্যাল কোনো সমস্যাও নেই। শরীরের দুর্বলতা কেটে গেলে দুই একদিনের মধ্যে তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।’

উল্লেখ্য, গত রবিবার সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তির পর এনজিওগ্রামে কাদেরের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করার পর তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও পরে আবার অবনতির দিকে যায়। চিকিৎসকরা তখন কৃত্রিমভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করেন।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে গত সোমবার সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে ওবায়দুল কাদেরকে। ৬৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিকেকে দেখতে রবিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে একটি চিকিৎসক দল ঢাকায় আসে। পরে সরকারের তরফ থেকে ভারতের প্রখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জন দেবী প্রসাদ শেঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সোমবার দুপুরে ঢাকায় এসে তিনি কাদেরের অবস্থা দেখে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

পরে তার সঙ্গে পরামর্শ করে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের চিকিৎসকরা ওবায়দুল কাদেরকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত দিলে বিকালেই কাদেরকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।

ঢাকাটাইমস/৯মার্চ/এনআই/ওআর/এমআর