উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের প্রতিবাদ করেছিলেন ইংরেজ নারী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ মার্চ ২০১৯, ০৯:২৮

ফ্রেডা বেদীর জীবনটা বেশ বৈচিত্র্যময়। জন্ম ইংল্যান্ডের ছোট্ট এক শহরে। প্রেমে পড়ে তিনি চলে আসেন ভারতে। এখানে এসে জড়িয়ে পড়েন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে। ভারতীয় উপমহাদেশে ফ্রেডা বেদীর সেই সংগ্রামের কাহিনী বিশদভাবে তুলে ধরেছেন তার জীবনীকার অ্যান্ড্রু হোয়াইটহেড।

ফ্রেডা বেদী বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যা বর্ণ বা সংস্কারের চেয়ে গভীর। ভালবাসা হচ্ছে তেমনি একটি বিষয়।’ ইংল্যান্ডের তৎকালীন সমাজব্যবস্থার সমস্ত কুসংস্কারকে পায়ে দলে বিয়ে করেছিলেন একজন ভারতীয় শিখকে এবং একজন মা ও স্ত্রীর ভূমিকা সম্পর্কে ভারতীয় সমাজে যেসব প্রচলিত ধ্যানধারণা ছিল তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন।

ফ্রেডার সঙ্গে বাবা পেয়ারে লাল বেদী, বন্ধুরা যাকে সংক্ষেপে বিপিএল বলে ডাকেন, তাদের দেখা হয়েছিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। দু’জনেই সেখানে পড়াশুনা করতেন। সময়টা ছিল ১৯৩০ এর দশক। বর্ণপ্রথার বেড়াজালকে ডিঙিয়ে দু’জন মানুষের মধ্যে প্রেম হওয়ার ঘটনা ছিল চিন্তার বাইরে। সেসময় অক্সফোর্ডের মত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যাও ছিল খুব কম। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মেয়েদের জায়গা দিতে মানসিকভাবে তৈরি ছিল না।

ফ্রেডার পরিবার খুব ধনী ছিল না। তার জন্ম ডার্বি শহরের এক দোকান ঘরের ওপর তলায় এক ফ্ল্যাটে। বাবা একটি গহনার দোকান চালাতেন এবং ঘড়ি সারাই করতেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রেডার শৈশবেই তিনি মারা যান। পরবর্তী জীবনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ফ্রেডার জীবনকে বদলে দিয়েছিল। ফ্রেডার কথায়, ‘আমার চোখের সামনে খুলে দিয়েছিল বিশ্বের জানালা।’

বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দা, তীব্র বেকারত্ব আর ফ্যাসিজমের প্রসারের সময় ফ্রেডার মত যারা পড়াশুনা করতেন তাদের ডাকা হত ‘ডিপ্রেশন জেনারেশন’ বা ‘মন্দার প্রজন্ম’ হিসেবে।

অক্সফোর্ডে ফ্রেডার সঙ্গে ভাব হয়েছিল যেসব মেয়েদের তারা প্রায় সবাই ছিল মন-মানসিকতায় বিদ্রোহী। তাদের সঙ্গে নিয়ে ফ্রেডা লেবার ক্লাব এবং কমিউনিস্টপন্থী অক্টোবর ক্লাবের মিটিংয়ে যোগদান করতেন।

পাশাপাশি ব্রিটিশ সম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছিলেন তাদের প্রতিও ফ্রেডার ছিল কৌতূহল এবং সহমর্মিতা। সেকারণেই তিনি যেতেন ‘অক্সফোর্ড মজলিস’ এর সাপ্তাহিক বৈঠকে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যে স্বল্পসংখ্যক ভারতীয় ছাত্র ছিলেন, তারা এই মজলিসে এসে ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে কথাবার্তা বলতেন। সুদর্শন পাঞ্জাবী ছাত্র বিপিএল বেদী এই মজলিসে নিয়মিত যেতেন।

প্রথম দিকে ফ্রেডা আর বিপিএলের মধ্যে চেনা-জানার সম্পর্কের ভিত্তি ছিল ইন্টেলেকচুয়াল। পরে সেটা বন্ধুত্ব এবং প্রেমে রূপ নেয়।

১৯৩০ সালে অক্সফোর্ডের মেয়েদের কলেজগুলো খুবই কট্টরপন্থী। বিশেষভাবে নর-নারীর সম্পর্ককে তারা সেক্স এর বাইরে ভাবতেই পারত না। কোনো ছাত্র যদি কোনো ছাত্রীর হোস্টেল কক্ষে গিয়ে দেখা করতে চাইত, তখন ঘরের দরজা খোলা রাখতে হত এবং ঘরের মধ্যে একজন আয়াকে পাহারায় রাখা হত। আর হোস্টেল রুমের বিছানাটিকে সরিয়ে করিডরে রাখা হত।

এই সম্পর্কটি যাতে না বাড়ে তার জন্য ফ্রেডার কলেজ নানা পদক্ষেপ নিয়েছিল। তিনি একবার বিপিএল এর সঙ্গে কোনো পাহারাদার ছাড়াই দেখা করেছিলেন বলে কলেজ তাকে খুব বকাঝকা করেছিল। পুরো বিষয়টা বর্ণবাদী ছিল মনে করেন ফ্রেডা।

অক্সফোর্ডে ফ্রেডা কিছু ভাল বান্ধবী পেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন বারবারা কাস্ল, যিনি পরে খুবই প্রভাবশালী এক রাজনীতিকে পরিণত হন। ফ্রেডা যখন তাকে জানালেন যে তিনি বিপিএলকে বিয়ে করতে চান, তখন তার বান্ধবী খুবই খুশি হয়ে তাকে বলেছিলেন, ‘যাক্ বাঁচা গেল। তুমি অন্তত কোন সাধারণ গৃহবধূ হবে না’।

তবে ফ্রেডার মা বিষয়টাকে মোটেই সেভাবে দেখেননি। তারা বিয়েটাকে মেনে নিতে চাননি। শেষ পর্যন্ত বিপিএল নিজে ডার্বি গিয়ে ফ্রেডার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর তারা মত বদল করেন।

ফ্রেডা বলছিলেন, তার বিয়ের ঘটনাটি অক্সফোর্ডে বেশ হৈচৈ ফেলেছিল। তার মতে তিনিই অক্সফোর্ডের প্রথম কোনো স্নাতক শ্বেতাঙ্গ ছাত্রী যিনি কোনো ভারতীয় সহপাঠীকে বিয়ে করেছিলেন। তবে এই বিয়ের ব্যাপারে অনেকেই তাদের বিরাগ ঢেকে রাখতে পারেননি।

এমনকি বিয়ের পর রেজিষ্ট্রার নব দম্পতির সঙ্গে হাত মেলাতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। বিয়ের পর থেকে ফ্রেডা নিজেকে ভারতীয় জীবনধারার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সচেষ্ট হয়ে ওঠেন। ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই দুজনকেই বিপ্লবী এবং গোলযোগ সৃষ্টিকারী হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছিল।

এক বছর পর তারা যখন তারা যখন তাদের শিশু সন্তান রাঙাকে নিয়ে জাহাজে করে তৎকালীন বম্বেতে (এখনকার মুম্বাইতে) এসে নামেন, তখন কর্তৃপক্ষ সাত ঘণ্টা ধরে তাদের মালপত্রে তল্লাশি চালায়।

পুলিশ তাদের কাছে বামপন্থী প্রচারপত্র খুঁজছিল। ফ্রেডা জানিয়েছেন, ‘এমনকি রাঙার ছোট রুমালগুলিও সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। তারা সন্দেহ করছিল রুমালের মধ্যে ওসব প্রচারপত্র লুকানো থাকতে পারে।’

ফ্রেডার বিবাহিত জীবনে এক বড় ধরনের পরীক্ষা হয় যখন তার সঙ্গে তার বিধবা শাশুড়ির প্রথমবার দেখা হয়। তার শাশুড়ি ছিল বেশ ডাকসাইটে। সবাই তাকে ‘ভাবুজি’ বলে ডাকত। বম্বে থেকে বেদী দম্পতি কয়েক দিন ধরে পথ চলার পর এসে পৌঁছান পাঞ্জাবের ছোট এক গ্রাম কাপুরথালায়। তখন মধ্যরাত। বিপিএল মায়ের পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। সাধারণ তাঁতের শাড়ী পরা ফ্রেডাও দেখাদেখি শাশুড়িকে প্রণাম করলেন।

ফ্রেডা জানান, ‘প্রথম দিকে আমার একটু অস্বস্তি লাগছিল। কিন্তু আমার সব জড়তা কেটে গেল যখন আমি দেখলাম আমার শাশুড়ি সজল চোখে আমাদের জড়িয়ে ধরলেন। তিনি যেন আমাদের ছাড়তেই চাইছিলেন না।’

স্বামীর ভারতীয় পরিবারের সঙ্গে ফ্রেডা খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করলেও তার জীবনযাপন ছিল একেবারেই ভিন্ন ধরনের। বিপিএল এর বাম রাজনৈতিক বিশ্বাসের জন্য তিনি পরিবারের কাছ থেকে কোন সম্পদ গ্রহণ করেন নি। তারা লাহোরে গিয়ে যে বাড়িতে ওঠেন তা ছিল কুঁড়ে ঘর। সেখানে ছিল না কোন বিদ্যুৎ কিংবা কোন জলের সংযোগ।

বাড়িতে তারা মুরগী পুষতেন আর মোষ পালন করতেন। এই জীবন প্রণালী ফ্রেডা মোটেও আশা করেননি। তেমনি শাশুড়িকে নিয়ে থাকাও তার কাছের ছিল একেবারেই নতুন ধারণা।

বেদী পরিবারের অতিথি সোম আনন্দ বলেন, ‘একজন শ্বেতাঙ্গ নারী ভারতীয় পুত্রবধূ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে, এমন ব্যাপার আমি কোথাও দেখিনি। মিসেস বেদী প্রতিদিন সকালে ভাবুজির ঘরে ঢুকে তাকে প্রণাম করতেন। শাশুড়ির পছন্দ-অপছন্দের দিকেও নজর রাখতেন। শাশুড়িও ছিলেন উদারমনা। সব কিছু জেনে শুনেই তিনি খ্রিস্টান পুত্রবধূকে আপন করে নিয়েছিলেন।’

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধলে বিপিএল এবং ফ্রেডা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। কারণ ব্রিটেন তার নিজের স্বার্থের জন্য ভারতকে এই লড়াইতে সামিল করেছিল। পাঞ্জাবে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ যাতে ভণ্ডুল করতে না পারেন, সেজন্য বিপিএলকে মরুভূমির মধ্যে এক জেলখানায় কয়েদ করে রাখা হয়েছিল। ফ্রেডাও নিজের মাতৃভূমি বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে তৈরি হচ্ছিলেন।

ভারতের স্বাধীনতার দাবিতে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী যে সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করলেন ফ্রেডা তাতে একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দেন। তিনি তার স্বামীর গ্রামের বাড়ি ডেরা বাবা নানকে গিয়ে ঘোষণা করেন যে ‘ভারত যতদিন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত না হবে ততদিন তিনি সব ভারতীয়কে বলবেন বিশ্বযুদ্ধে সামিল না হতে।’

এটা একটা উস্কানিমূলক বক্তব্য যার জন্য শাস্তির বিধান ছিল। কিন্তু একজন শ্বেতাঙ্গ নারীর পক্ষ থেকে এই ঘোষণা আসার পর তাকে নিয়ে কী করা হবে কর্তৃপক্ষ তা বুঝতে পারছিল না। তাই তারা সেখানে একজন ইংরেজ পুলিশ অফিসারকে পাঠায়। ফ্রেডা বেদীকে আটক করে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়। তারপরের কথোপকথন ছিল এরকম:

ম্যাজিস্ট্রট: ‘কাজটা আপনার জন্য যেমন সুখকর না, আমার জন্যও না’।

ফ্রেডা: ‘এটা নিয়ে ভাববেন না। আমার মোটেই খারাপ লাগছে না’।

ম্যাজিস্ট্রট: ‘ইংরেজ নারী হিসেবে যেসব সুযোগ-সুবিধে আপনি পেতে পারেন, সেটা কি আপনি চান?’

ফ্রেডা: ‘আপনি আমাকে একজন ভারতীয় নারী হিসেবেই দেখবেন। আমি তাতেই খুশি হবো।’

এরপর ম্যাজিস্ট্রেট ফ্রেডাকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু জেলের জীবন খুব একটা কঠিন ছিল না। জেলে যেসব নারী কয়েদি ছিল, যারা ফৌজদারি অপরাধের জন্য দণ্ড ভোগ করছিলে, তারাই ফ্রেডার বেশির ভাগ কাজ করে দিত।

ফ্রেডা বলেন, ‘ভারত ছিল আমার ভবিতব্য’। একজন ইংরেজ নারী হয়ে ভারতের স্বাধীনতা দাবি করে কারাগারে গিয়ে বিখ্যাত হওয়াও তার ভবিতব্যই ছিল। বেদী দম্পতির রাজনৈতিক খ্যাতি ভারতের স্বাধীনতার পরও বজায় ছিল। স্বাধীনতার পর তারা কাশ্মীরে চলে যান এবং কাশ্মীরী জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে মিলে গড়ে তোলেন বামপন্থী নারী মিলিশিয়া গ্রুপ।

উনিশশো পঞ্চাশ সালে ফ্রেডা বেদীর জীবনে একটা বড় পরিবর্তন আসে। বার্মায় জাতিসংঘের দায়িত্ব পালনের সময় তিনি বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে পরিচিত হন এবং বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন।

১৯৫৯ সালে চীনা নিষ্পেষণের শিকার হয়ে যখন হাজার হাজার তিব্বতি তাদের দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেন, তখন ফ্রেডা ওই শরণার্থীদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। এক সময় তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে তিনি তার সন্তানদের প্রতি দায়িত্ব শেষ করেছেন। (তার তিন সন্তানের একজন হলেন চিত্র তারকা কবির বেদী।)

তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে তিনি এতটাই মিশে যান যে তিনি বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনীর শপথ নেন। তার বয়স যখন ষাটের কোঠায় তখন তিনি বৌদ্ধ ধর্মের বাণী প্রচারের জন্য সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়ান। কিন্তু তিনি কখনই আর কোন পশ্চিমা দেশে গিয়ে থাকেন নি।

ফ্রেডার কথায়, ‘একজন নারী এবং একজন স্ত্রী হিসেবে আমি বিকশিত হয়েছি ভারতের মাটিতে। রুপার্ট ব্রুকের কবিতা উদ্ধৃত করে তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমি সেই একমুঠো ধুলো যাকে জন্ম দিয়েছে, আকার দিয়েছে এবং জ্ঞান দিয়েছে ইংল্যান্ড। যদিও আমি ভারতীয় জীবনধারা গ্রহণ করেছি, আমার স্বামী-সন্তানরাও ভারতীয়, তবুও আমি মনে করি না আমি এবং আমার নতুন দেশের মধ্যে কোন ধরনের বাধা রয়েছে কিংবা কোন পার্থক্য রয়েছে।’

সারা জীবন ধরে ফ্রেডা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, কিংবা লিঙ্গের বাধা অতিক্রম করে এসেছেন। প্রচলিত নিয়মের ওপর তিনি কুঠারাঘাত করেছেন। প্রচলিত চিন্তাভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি সবাইকে চমকে দিয়েছেন। ১৯৭৭ সালের ২৬ মার্চ নয়াদিল্লিতে মৃত্যুবরণ করেন ফ্রেডা বেদী। সূত্র: বিবিসি

ঢাকা টাইমস/১০মার্চ/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

মধ্যপ্রাচ্যে বৈরী আবহাওয়া: আকস্মিক বন্যার পেছনে আছে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতেরও ভূমিকা

তিন হিজবুল্লাহ যোদ্ধাকে হত্যার দাবি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর, পাল্টা হামলা হিজবুল্লার

শিগগির পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

ইউক্রেন যুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত

মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচাতে ৩৪ কোটি রুপির তহবিল

মোদিকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করার দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা

ইসরায়েলে ইরানি হামলার জন্য দায়ী নেতানিয়াহু: এরদোয়ান

কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি সু চি 

রেকর্ড বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত আরব আমিরাত, ওমানে বন্যায় ১৮ জনের মৃত্যু  

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :