দুর্ঘটনায় আরজে হলাম

প্রকাশ | ১০ মার্চ ২০১৯, ১৬:১২ | আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৯, ১৬:১৭

রুদ্র রুদ্রাক্ষ

তাজ মানে মুকুট, কিন্তু আভিধানিক অর্থ বদলে দিয়ে তিনি তাজকে রূপান্তরিত করেছেন তেজে। বলছি ¯পাইসি এফএমের কর্ণধার আরজে তাজের কথা। দুর্ঘটনা থেকে হয়ে উঠেছেন আরজে। রেডিও ইন্ডাস্ট্রি ও নিজের জীবনের নানা বিষয় নিয়ে তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন ঢাকাটাইমসের। আলাপে ছিলেন রুদ্র রুদ্রাক্ষ।

আরজে তাজ কেন আরজে হলেন?

অনেস্টলি আমি কখনো আরজে হতে চাইনি। বাবা রেডিওর লাইসেন্স বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। আমি তাকে নিরাশ করে রেডিওটার দায়িত্ব নিয়ে নিলাম। এরপর একটা শোর আগে সেই শোটির আরজে অসু¯হ। নিরুপায় হয়ে আমি বসে গেলাম অনএয়ারে। সেই থেকে শুরু।

দুর্ঘটনা থেকে আরজে হয়ে ওঠা তাজ পেশাটা কীভাবে দেখে এখন?

ভালোবেসে ফেলেছি। এই পেশার মানুষেরা সশব্দে সমাজ বদলে দেয়ার সক্ষমতা রাখে।

আপনার প্রাঙ্ককলের যে প্রোগ্রামটা সেটির সত্যতা নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রশ্ন উঠেছে। এর জবাবে কী বলবেন?

ঠোঁটে আঙুল তুলে শব্দ করে বলব- হিসসস। কাজ করে যান প্লিজ। যে যার জায়গা থেকে কাজ করে যান দেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে। নিঃশব্দে অথবা সশব্দে যেভাবেই হোক কাজ করে যান। অন্যের কর্মকা- নিয়ে আলোচনা করার প্রচুর সময় পাবেন, কিন্তু দেশের জন্য মানুষের জন্য কাজ করার শ্রেষ্ঠ সময় হলো তারুণ্য। হেলায় হারাবেন না বয়সটা। আর বয়সে প্রবীণ যারা আছেন তাদের বলব, বাবা-মা অনুপ্রেরণা হও আমাদের। আমরা  প্রেক্ষাপট বদলে দেয়ার সক্ষমতা রাখি।

আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

আমি সমাজ বদলের জন্য নিরলস কাজ করে যেতে চাই। পেশাগত ও সামাজিক অব¯হান থেকে সমাজ বদলের এই কাজটাই আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আপাতত।

আরজে না হলে কী হতেন?

-আরজেও তো হতে চাইনি। পেশা মূলত একটা ট্যাগ। আরজে না হলে হয়তো অন্য পেশায় যেতাম। কিন্তু যা হওয়ার জন্য আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং সবার করা উচিত, সেটা হলো 'মানুষ'।

কেউ আরজে হতে চাইলে কি পরামর্শ দেবেন?

বই পড়ার পরামর্শ দেব। অনর্গল কথা বলতে হলে বই পড়াটা বাধ্যতামূলক। উচ্চারণের দিকে খেয়াল রাখতে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি এলাকার ভাষা স¤পর্কে ধারণা রাখতে হবে।

পেশা হিসেবে মানুষ কেন এটা বেছে নেবে?

-কারণ এটা খুব বড় একটা মাধ্যম। একটা পরিবর্তনকামী ছেলে বা মেয়ের কথা বলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্ল্যাটফর্ম হলো রেডিও।

মিডিয়ায় নারীরা কতটা স্বাধীন?

মেয়েরা এখন কথা বলছে। এটা অনেক ভালো একটা দিক। একটা সময় মেয়েরা সব অন্যায় মুখ বুজে মেনে নিত, প্রতিবাদ করত না। এখন মেয়েরা প্রতিবাদ করতে শিখেছে। শুধু মিডিয়াতেই না সব ক্ষেত্রেই মেয়েরা স্বাধীনতাকামী হয়ে উঠেছে। এটা দারুণ একটা দিক। কতটুকু স্বাধীন সেই পরিসংখ্যান নেই আমার কাছে। তবে দিনে দিনে মেয়েদের সামাজিক অবস্থানের উন্নতি হচ্ছে, এটা খালি চোখেও টের পাওয়া যায়।

(ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/মোআ)