করতোয়ায় সব হারানো শামসুন্নাহার পেলেন বাড়ি

প্রকাশ | ১০ মার্চ ২০১৯, ১৮:৫২

শওকত আলী, চাঁদপুর, ঢাকাটাইমস

করতোয়া নদীতে সব হারিয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আশ্রয় নেয়া শামসুন্নাহার বেগম স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করার মতো একটি বাড়ি পেয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধের ১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন বাড়িটি করে দেয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ‘জমি আছে, ঘর নেই’ প্রকল্পের আওতায় বাড়িটি নির্মাণে তদারক করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া। স্থানীয় আসাদুজ্জামান মজুমদার ঘর করার জন্য শামসুন্নাহারকে ভূমি দান করেন।

আজ রবিবার বিকালে সাংসদ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. মাইনুদ্দীন, প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সি মোহাম্মদ মনিরসহ আওয়ামী লীগের নেতারা হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে ওই বাড়ি দেখতে যান।
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. মাসুদ ইকবাল ও যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সোহেল বাড়ির মালিকানা দলিল শামসুন্নাহারের কাছে হস্তান্তর করেন।

কয়েক মাস আগে ‘পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে শামসুন্নাহার’ শিরোনামে স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলামের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি শামসুন্নাহারকে মাথা গোঁজার একটি ব্যবস্থা করে দিতে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়াকে নির্দেশ দেন।

শামসুন্নাহারের স্বামীর বাড়ি নীলফামারী জেলার করতোয়া নদীর তীরে ছিল। একসময় তার সবই ছিল। গোলাভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, ছিল অনেক কৃষিজমি। ভয়াল করতোয়া তাদের সব কেড়ে নেয়।

তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে শামসুন্নাহার চলে আসেন পিতৃভূমি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে। বসতি গাড়েন হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের নোয়াপাড়ায় এক ঝুপড়িঘরে। বর্ষাকালে সাঁতার কেটে যেতে হতো রাস্তায়। তার স্কুল পড়ূয়া ছেলেমেয়েও একটি ড্রেস নিয়ে সাঁতার কেটে খাল পেরিয়ে  পরে আরেকটি পোশাক পরে স্কুলে যেত। শামসুন্নাহারের স্বামী মোজাম্মেল রিকশা চালান চটগ্রামে।

(ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/মোআ)