ডাকসু নির্বাচন

ভোট শুরুর আগেই দীর্ঘ লাইন

প্রকাশ | ১১ মার্চ ২০১৯, ০৮:৫৮ | আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৯, ১১:৫৯

সদর উদ্দিন লিমন, ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট শুরুর আগেই স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে ভোটারদের দীর্ঘলাইন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। রবিবার সকাল আটটায় ভোট শুরু হলেও তার অনেক আগেই কেন্দ্রে যান অনেক ভোটার। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকেন তারা।

সোমবার সকাল সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন অনেক ভোটার। ভোটারদের লাইন রাস্তার ওপরে চলে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী তাদের সবাইকে সরে এক পাশে যেতে বলছেন। আটটায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে অনেকে হাসিমুখে ফিরছেন।

লাইনে দাঁড়ানো হলের এক শিক্ষার্থী জানান, ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে সকাল সকাল লাইনে এসে দাঁড়িয়েছি। এটিই আমার জীবনের প্রথম ভোট। ভোট দিতে পারবো এটা ভেবেই অনেক ভালো লাগছে।

স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট কে এম সাইফুল ইসলাম খান জানান, ভোট শুরুর আগে সব প্রার্থীর প্রতিনিধিকে ডেকে ব্যালট বাক্স দেখানো হয়। তিনি বলেন, ‘ঠিক আটটায় ভোট শুরু করা হবে। তাই সব প্রার্থীর প্রতিনিধির সামনেই ব্যালট দেখিয়ে সিলগালা করা হয়।’

স্যার এ এফ রহমান হল ছাড়াও সব কেন্দ্রের সামনে সকাল থেকে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২৮ বছর পর আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুসারে ডাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে লড়বেন ২২৯ জন প্রার্থী। ডাকসুর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী  ৪২ হাজার ৯২৩ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

কেন্দ্রীয় সংসদে অংশ নিচ্ছে ১৩টি প্যানেল ও স্বতন্ত্র থেকে ডাকসুতে ২২৯ জন প্রার্থী। তার মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২১ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া এজিএস পদে ১৩ জন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৯ জন, কমনরুম ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৯ জন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, সাহিত্য সম্পাদক পদে ৮ জন, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১২ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১১ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১০ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৪ জন এবং ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে ৮৬ জন নির্বাচন করছেন। অন্যদিকে হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সর্বমোট ৫০৯ জন প্রার্থী। প্রতিটি হলে ১৩টি করে পদ রয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১১মার্চ/এমআর