দুদকের মামলায় পুলিশ সার্জেন্টের ৭ বছর কারাদণ্ড
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সিলেট উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক কার্যালয়ের সার্জেন্ট মো. আজাহার আলীর (বর্তমানে স্বেচ্ছায় অবসরপ্রাপ্ত) সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ সৈয়দ কামাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আদালত আসামির জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠান।
রায়ে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় ২ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড এবং ২৭(১) ধারায় ৫ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তিন মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামিপক্ষের আইনজীবী এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’
দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আব্দুর রাজ্জাক মিয়া।মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মো. আজাহার আলী স্থাবর-অস্থাবরসহ এক কোটি ৩০ লাখ ১৮ হাজার ৬৭৬ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণীতে এক কোটি ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৮০০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ, যার মধ্যে ৭৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে তিনি সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা এবং অসাধুভাবে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ এক কোটি ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৮০০ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখল করেন।
এ অভিযোগে ২০১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আজাহার আলীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মোনায়েম খান। মামলাটি তদন্ত করে তিনি ২০১৫ সালের ১৬ জুন আজাহার আলীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অন্য আসামিরা হলেন- কেন্দ্রীয় জরিপ সার্কেল-৫ এর সহকারী কর কমিশনার (অব.) জগদীশ চন্দ্র সরকার, সার্কেল-১ এর সাবেক অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার মাহবুবুর রহমান, জরিপ সার্কেল-৫ এর সাবেক অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার শাহ আলম, জরিপ সার্কেল-৪ এর অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার (অব.) এম এম নুরুজ্জামান এবং সার্কেল-২ এর অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার জাহিদুল ইসলাম।
২০১৬ সালের ১৬ মার্চ পাঁচ আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে আজাহার আলীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য নেন। আজাহার আলীর পক্ষে চারজন সাফাই সাক্ষ্য দেন।
(ঢাকাটাইমস/১২মার্চ/মোআ)