বেরোবিতে এবার কর্মবিরতিতে নামল কর্মচারীরাও

প্রকাশ | ১৩ মার্চ ২০১৯, ১৩:০৮

বেরোবি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার ১০ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে কর্মচারী ইউনিয়ন। বুধবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসের শেখ রাসেল চত্বরে কর্মবিরতি শুরু করে কর্মচারী ইউনিয়ন।

গত তিন দিন ধরে টানা কর্মবিরতি পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। একই সাথে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।

কর্মচারীদের দশ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, আগামী সিন্ডিকেটের আগে কর্মচারীদের নীতিমালা পাশ, চলতি মাসেই ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া পরিশোধ, দ্রুত পেনশন নীতিমালা বাস্তবায়ন, সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মচারীদের চাকরিতে পুণর্বহাল, দূরের কর্মচারীদের জন্য গাড়ি ও আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতিকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার বিচার, কর্মচারী নিয়োগ কমিটিতে কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি রাখা ও মাস্টারোল কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ।

কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম বলেন, ‘আমরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হই। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিদ্রুত আমাদের দাবি মেনে নেবে। অন্যথায় সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলতেই থাকবে।

এদিকে তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি অব্যহত রেখেছে কর্মকর্তারা। উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) আমিনুর রহমানকে অব্যাহতি, ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম মোস্তফাকে সংস্থাপন শাখা থেকে অন্য দপ্তরে বদলিসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি করছেন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বুধবার কর্মবিরতির তৃতীয় দিনে সকাল ১০টা থেকে বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রার দপ্তরের সামনে অবস্থান নেয় তারা।

এ বিষয়ে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের বিশ্বাস উপাচার্য মহোদয় আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবেন। অন্যথায় আমাদের ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কমিলমউল্লাহ এবং রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামালের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/ওআর