যৌন কেলেঙ্কারিতে বিদায় কোরিয়ান পপ তারকা

প্রকাশ | ১৩ মার্চ ২০১৯, ১৮:১১

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

জাং জুন ইয়ং নামে আরও এক কোরিয়ান পপ তারকা নাটকীয়ভাবে সংগীত থেকে বিদায় নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ৩০ বছর বয়সী ওই গায়ক স্বীকার করেন, তিনি গোপনে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে যৌনমিলনের দৃশ্য ভিডিও করেছেন এবং তা শেয়ার করেছেন।

বুধবার এক বিবৃতিতে জাং জুন ইয়ং বলেন, ‘আমি আমার সমস্ত অপরাধ স্বীকার করছি।  সেইসঙ্গে টেলিভিশনে এবং সংগীতাঙ্গনে নিজের যত কাজ আছে সব সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

কে-পপ সুপারস্টার বিগ ব্যাং ব্যান্ডের গায়ক সিউংরি যৌন লেনদেন (সেক্স ব্রাইবেরি) এর ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার একদিন পরেই এই খবর এলো। এর মধ্য দিয়ে কে-পপ এর ওপর যৌন কেলেঙ্কারির বড় রকমের ছায়া পড়তে শুরু করেছে । কে-পপ হল মূলত কোরিয়ান পপ সঙ্গীতের ডাক নাম, যার শুরু দক্ষিণ কোরিয়ায়।

সউলের মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে বৃহস্পতিবার জেরার মুখে পড়তে হবে জাংকে। কারণ তিনি বিবৃতি দিয়ে স্বীকার করেছেন, ‘আমি একাধিক নারীর সঙ্গে যৌনমিলনের মুহূর্ত অগোচরে ভিডিও করেছি এবং চ্যাটরুমে তা শেয়ার করেছি। এ জন্য আমার ভেতরে সে সময় কোনো ধরনের অপরাধবোধ কাজ করেনি।’

দক্ষিণ কোরিয়ার ব্রডকাস্টার এসবিএস অভিযোগ প্রকাশ করে, জাং নিজের যৌন মিলনের দৃশ্য নিজেই ভিডিও করেছেন গোপনে এবং সঙ্গীদের কোনোরকম অনুমতি ছাড়াই। ২০১৫-১৬ সাল সময়কালে সেসব শেয়ার করেছেন মোবাইল চ্যাট গ্রুপে।

এ ঘটনায় তিনি তার ক্ষুব্ধ ভক্তদের কাছে এবং যে সমস্ত নারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছেন তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। বলেন, ‘বাকি জীবন আমি আমার অনৈতিক ও অবৈধ কাজগুলো যা অপরাধযোগ্য তার জন্য অনুতপ্ত থাকব।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া পুলিশের তদন্ত কাজে আমি বিশ্বস্ততার সঙ্গে সহযোগিতা করব এবং আমার জন্য যে শাস্তিই নির্ধারিত হোক না কেন আমি তা নিঃসঙ্কোচে মেনে নেব।’

অগোচরে যৌন মিলনের ভিডিও ধারণের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে এটাই প্রথমবার নয়। ২০১৬ সালে এই গায়কের সাবেক এক বান্ধবী একই অভিযোগ এনেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

সুপরিচিত এই গায়ক ও গীতিকার অবশ্য সে সময় ওই অভিযোগ নাকচ করে দাবি করেছিলেন, তার বান্ধবীর অনুমতি নিয়েই তা ভিডিও করা হয়েছিল।

এই খবরগুলো আসছে এমন এক সময় যখন দক্ষিণ কোরিয়াতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গোপন ক্যামেরায় আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও ধারণ করে তা গোপনে আপলোড করার ঘটনা ‘মহামারী’ রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে টয়লেট এবং পোশাক বদলানোর কক্ষে তা বেশি ঘটছে।

এসব ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ছে কিন্তু ভুক্তভোগী নারীদের হয়তো কোনো ধারণাই নেই। দক্ষিণ কোরিয়াতে শুধু ২০১৭ সালেই ‘স্পাই ক্যাম পর্ণ’-এর ছয় হাজারটি ঘটনা ঘটেছে ।

ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/এএইচ