থানায় ‘এএসপি’ পরিচয়ে প্রতারণা, হাতেনাতে ধরা ৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ মার্চ ২০১৯, ১১:৪৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় প্রতারণা করতে গিয়ে পুলিশের হাতেনাতে আটক হয়েছেন তিনজন। তাদের একজন নিজেকে সহকারী পুলিশ সুপার পরিচয় দেন। অপর দু্জন তার সহযোগী।

সহকারী পুলিশ সুপার এএসপি পরিচয় দানকারী ব্যক্তির নাম কাউসার আলম (৩১)।

বুধবার দুপুরে তাকে আটক করা হয়। কাউসার আলম সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের হাজি বাদশাহ আলমের ছেলে।

তাকে আটকের সময় তার দুই সহযোগী সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের দারমা গ্রামের আব্দুল খালেকের দুই ছেলে ফায়েজ (৩৫) ও কাউসারকেও (২৫) আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার একটি চুরির মামলার বিষয়ে খোঁজ নিতে থানায় আসেন কাউসার আলমসহ দুইজন। এসময় কাউসার নিজেকে ঢাকার মালিবাগ জোনের ডিএসবির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পরিচয় দেন।

পরে গতকাল বুধবার দুপুরে পূণরায় তিনি সদর মডেল থানায় আসেন। থানায় ওসি না থাকার সুবাধে তিনি তার কক্ষে ঢুকে ওসির চেয়ারে বসেন।

তিনি থানার কর্মকর্তাদের বিভিন্ন অর্ডার দিতে থাকেন। এক কর্মকর্তার অনুরোধে ওসির চেয়ার থেকে উঠে সামনের চেয়ারে বসেন।

এক পর্যায়ে তাকে চায়ের কথা বলা হলে তিনি জানান তিনি চা নয় কফি পান করবেন।

এসময় থানায় ওসি সেলিম উদ্দিন থানায় আসেন। তার ব্যবহারে সেলিম উদ্দিনের সন্দেহ হলে তিনি যাচাই বাছাইয়ে জানতে পারেন কাউসার আলম ভুয়া সিনিয়র এএসপি।

পরে কাউসারসহ তার সাথে থাকা দুইজনকে আটক করা হয়।

আটক কাউসার আলম জানান, তিনি ঢাকার বেইলী রোডে অফিসার্স ক্লাবে সার্ভিস বয়ের কাজ করেন গত ১০বছর ধরে। কয়েক বছর আগে বঙ্গভবনের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পাস কার্ড পান। সেই সময় থেকে তার ওই কার্ডটি বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণা কাজে ব্যবহার করে আসছেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজধানীর নীলক্ষেত থেকে পুলিশের আইডি কার্ড তৈরি করেন তিনি।

এই আইডি কার্ড নিয়ে এসেছেন সদর থানায়। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম উদ্দিন জানান, প্রতারণার দায়ে তাদের বিরুদ্ধের আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/ওআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :