মির্জাপুরে প্রধানমন্ত্রী, ৩১ প্রকল্পের উদ্বোধন

প্রকাশ | ১৪ মার্চ ২০১৯, ১১:৫১ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯, ১২:৪৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দানবীর রনদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পৌঁছে ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিফলক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার পর তিনি এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন।

কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদক দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া কুমুদিনী হাসপাতাল ও ভারতেশ্বরী হোমস পরিদর্শন করবেন তিনি।

অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারটি সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে মির্জাপুর হেলিপ্যাডে পৌঁছায়। এরপর জেলা পুলিশ প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে প্রধানমন্ত্রী কুমুদিনী কমপ্লেক্স থেকে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী দানবীর রনোদা প্রসাদ সাহা স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত আছেন।

এ বছর চার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে দানবীর রনোদা প্রসাদ সাহা স্বর্ণপদক দেওয়া হচ্ছে। পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দী (মরণোত্তর), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), নজরুল গবেষক প্রফেসর রফিকুল ইসলাম ও বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী শাহবুদ্দীনকে এই পদক দেওয়া হবে। সোহরাওয়ার্দীর পক্ষে শেখ রেহেনা এবং জাতীয় কবির পক্ষে কবির নাতনী খিল খিল কাজী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণপদক গ্রহণ করবেন।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণের অগ্রপথিক দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার জন্মস্থান টাঙ্গাইলের মির্জাপুর। আজীবন আর্তমানবতার সেবায় কাজ করেছেন তিনি। প্রতিষ্ঠা করেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ দাতব্য চিকিৎসালয়। মহান মুক্তিযুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি।

১৯৭১ সালের ৭ মে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আরপি সাহা ও তার একমাত্র ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

কুমুদিনী পরিবার এই মহান দানবীরের নামে ২০১৫ সালে রনোদা প্রসাদ স্বর্ণপদক প্রবর্তন করে।

ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/এমআর