কুমুদিনী ট্রাস্টে সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৪ মার্চ ২০১৯, ১৪:১৮ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯, ১৪:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
কুমুদিনী ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

কুমুদিনী ট্রাস্টে সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কুমুদিনী ট্রাস্টের মাধ্যমে অনেক কাজ করা হচ্ছে। জনগণের সেবায় এই ট্রাস্টে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রণদা প্রসাদ সাহা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা এক হাতে অর্থ উপার্জন করেতেন, আরেক হাতে বিলিয়ে দিতেন। মেয়েদের শিক্ষায়, চিকিৎসায় তিনি অর্থদান করেছেন। মানুষকে মানুষের মতো বেঁচে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। কুমুদিনী ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে অনেক কাজ করা হচ্ছে। জনগণের সেবায় সবসময় আমাদের সহযোগিতা থাকবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আসতে পেরে আজ সত্যি নিজেকে ধন্য মনে করছি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছিল, মা বোনদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছিল, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল, সেই একাত্তর সালের ৭ মে হানাদাররা নারায়ণগঞ্জের কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট থেকে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার একমাত্র পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে। তাদের পরিবার আর কখনোই তাদের ফিরে পায়নি। স্বজন হারানোর বেদনা যে কত কঠিন, এই বেদনা যে কত যন্ত্রণাদায়ক সেটা আমরা বুঝতে পারি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বজন হারানোর বেদনা নিয়েই আমার যাত্রা শুরু। একটাই আলো ছিল, জনগণের ভালোবাসা। সেটা নিয়েই কাজ করেছি। মনে রেখেছি বাবা কী করতে চেয়েছিলেন। মনে রেখেছি তার কাজের একটুকুও যদি আমি করতে পারি সেটাই হবে আমার বড় সাফল্য। বাংলাদেশকে এখন বিশ্ব উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে দেখে। আমরা আরও অনেকদূর এগিয়ে যেতে চাই।’

কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে প্রথমেই জেলার ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ধেরুয়া রেলওয়ে ওভারপাস, গ্রিড সাবস্টেশন, ইনডোর উপকেন্দ্রসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ খাতের বিভিন্ন প্রকল্প। একই স্থানে ভারতেশ্বরী হোমস মাল্টিপারপাস হল ও ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট নার্সিং কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।

এ সময় চার বিশিষ্ট ব্যক্তিকে রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদক দেন প্রধানমন্ত্রী। তারা হলেন পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দী (মরণোত্তর), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), নজরুল গবেষক প্রফেসর রফিকুল ইসলাম ও বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী শাহবুদ্দীন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কুমুদিনী হাসপাতাল ও ভারতেশ্বরী হোমস পরিদর্শন করেন।

ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/এমআর