হারতার শুঁটকি যেতে পারে বিদেশেও

প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০১৯, ০৯:০০

বরিশাল ব্যুরো প্রধান, ঢাকা টাইমস

কোনো ধরনের কেমিকেল ছাড়াই তৈরি বরিশালের উজিরপুরের সুস্বাদু শুঁটকির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। সরকারি সহায়তা পেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে এ অঞ্চলের শুঁটকি বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব বলে মনে করেন কারিগররা।

উপজেলার হারতা বাজারের নদীপাড়সহ তিনটি স্পটে সারা বছরই তৈরি হচ্ছে পুঁটি, ট্যাংরা, চিংড়ি, বাইনসহ ৮-১০ জাতের দেশি মাছের দুই ধরনের শুঁটকি। এ অঞ্চলে ব্যাপক মাছের যোগান থাকায় শীতকে তাদের ব্যবসার মৌসুম বলে জানান শুঁটকির কারিগররা।

সরেজমিনে হারতায় গিয়ে জানা গেছে, এলাকার চিত্তরঞ্জন হালদার, সুখরঞ্জন মাঝি ও সুভাষ হালদার প্রায় ৪০ বছর ধরে এই শুঁটকিপল্লীতে শুঁটকি তৈরি ও ব্যবসা করে আসছেন। চলতি বছর প্রায় ২০ মেট্রিকটন দেশি মাছের শুঁটকি ফরিদপুর, ফেনী, কিশোরগঞ্জ, ভৈরব ও ভাঙ্গা এলাকায় রপ্তানির লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা।

হারতা শুঁটকিপল্লীর সুখরঞ্জন মাঝি জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার মৎস্য শিকারিরা নিজেরাই এখানে আসেন মাছ নিয়ে। নগদ টাকায় সেসব মাছ কিনে শুঁটকি তৈরি করেন তারা।

জামবাড়ি গ্রামের মৎস্য শিকারি কৃষ্ণ পাল জানান, তিনি গত ২০ বছর ধরে মাছ ধরে শুঁটকি আড়তে বিক্রি করে আসছেন।

শুঁটকি ব্যবসায়ী সন্নাসী মাঝি মনে করেন, সম্ভাবনাময় এই শুঁটকিশিল্পের উন্নয়নে সরকারের সহায়তা দরকার। তাহলে হারতাসহ উজিরপুরের কয়েকটি স্পটে আরও শুঁটকিপল্লী স্থাপন করে নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়াসহ এলাকার বেকার মানুষদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব।

হারতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হরেন রায় জানান, দীর্ঘদিন ধরে হারতার তিনটি খোলায় নানা ধরনের শুঁটকি তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসছেন সেগুলো কিনতে।

সরকারি সহায়তা পেলে বিদেশে শুঁটকি রপ্তানি করে হারতা শুঁটকিপল্লীর আরও অনেকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করেন এই জনপ্রতিনিধিও।

(ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/ব্যুরো/এআর)