ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় নিহত ২৭

প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০১৯, ১০:০২ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯, ১১:৪৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এতে ২৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির একটি পত্রিকা ওটাগো। তবে দেশটির প্রশাসনের পক্ষ থেকে হতাহতদের সংখ্যা কত তা এখনো জানানো হয়নি।

দেশটির স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে অবস্থিত আল নূর মসজিদে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এন কিছুদূরে থাকা আরেকটি মসজিদেও হামলা হয়। সেখানে কী পরিমাণ মানুষ হতাহত হয়েছেন তা জানা যায়নি। তবে আল নুর মসজিদে বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের জন্য ৩০০ জনের মতো মুসল্লি আল নুর মসজিদে যান। বেলা দেড়টার দিকে একজন বন্দুকধারী মসজিদটিতে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে অনেক মুসল্লি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অনেকে আহত হয়ে দ্বিগ্নিদিক ছুটতে থাকেন। হামলায় ঘটনাস্থলেই কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে জানান তারা। হামলার পর ওই বন্দুকধারী জানালার কাঁচ ভেঙে হামলাকারী পালিয়ে যায়। বন্দুকধারীর হাতে অটোমেটিক রাইফেল ছিল।

দুটি মসজিদ ছাড়াও আশপাশের বেশ কয়েকটি স্কুলেও গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন বেশ কয়েকজন। এসব ঘটনায় কতজন হতাহত হয়েছেন তা বলতে পারেননি কেউ।

আল নুর মসজিদে হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, একজন বন্দুকধারী গুলিভর্তি বন্দুক নিয়ে মসজিদের মূল গেট দিয়ে মসজিদে ঢুকে সেজদারত মুসল্লিদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ছেন। শেষ হলে আবার লোড করে গুলি ছুড়ছেন। গুলিতে সেজদারত অবস্থাতেই অনেকে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন। আবার যারা বুঝতে পেরেছেন তারা প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দেন।

হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মসজিদে বেশ কয়েকজনকে লুটিয়ে পড়তে দেখা একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গুলিতে অনেকে হতাহত হয়েছেন। প্রাণ বাঁচাতে তিনি দৌড়ে পালিয়ে এসেছেন।

আল নূর মসজিদ এলাকায় মহান ইব্রাহিম নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে বলেন, ‘শুরুতে আমি ভেবেছিলাম বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে এমনটা হচ্ছে। পরে দেখি সবাই দৌড়াতে শুরু করেছে। এখনো আমার বন্ধুরা মসজিদের ভেতরে আছে।’

হামলার পর ক্রাইস্টচার্চ কর্তৃপক্ষ নগরীর সব মসজিদ পরবর্তী নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। নগরীর সব স্কুলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে হামলার কিছু সময় পর অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়র মসজিদটিতে গেলে স্থানীয় একজন তাদের মসজিদে ঢুকতে নিষেধ করেন। বলেন, এখানে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আতঙ্কিত খেলোয়াড়েরা তখন দৌড়ে হ্যাগলি ওভালে ফেরত যান। তারা এখন টিম হোটেলে অবস্থান করছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/এমআর)