মসজিদে হামলাকারী এই সন্ত্রাসী কে?

প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০১৯, ১৪:৩৬ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯, ১৯:৩০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে বন্দুকধারীর গুলিতে ৪৯ মুসল্লি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একটি মসজিদে হামলার সময় ভিডিও ধারণ করেছেন হামলাকারী নিজেই। লাইভে এসে তার হামলার ভিডিওটি এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

হামলাকারী ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তিনি বলেন, হামলাকারী অস্ট্রেলিয়ার এক শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী সন্ত্রাসী। তিনি কট্টর ডানপন্থী। তবে তার নাম প্রকাশ করেননি তিনি।

অন্যদিকে টুইটারে হামলাকারী নিজের পরিচয় দিয়েছেন ব্রেনটন ট্যারেন্ট নামে। তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রাফটন থেকে এসেছেন বলে বার্তায় লেখেন। এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ার সময় মসজিদের ভেতর থেকে সামাজিক মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করেন এই শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী।

হত্যাকাণ্ড ঘটনার আগে টুইটারে ৮৭ পাতার ইশতেহার আপলোড করেছেন হামলাকারী। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী হামলার আভাস আগেই দিয়েছিলেন তিনি।

শুক্রবার দুপুরে ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ভিডিওটিতে দেখা যায়, ভিডিও গেমের মতো একজন বন্দুকধারী স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করছে। হামলার ভিডিও দেখে ধারণা করা হচ্ছে, বন্দুকধারী হামলার আগে পুরো ঘটনাটি ভিডিও করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। হয়তো তাঁর মাথায় ভিডিও ক্যামেরা বসানো ছিল।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, একটি আধা স্বয়ংক্রিয় শর্টগান ও রাইফেল দিয়ে সাউথ আইল্যান্ডে আল নুর মসজিদে অন্তত ৫০টি গুলি ছোড়েন ২৮ বছর বয়সী এই যুবক। হামলায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত এক নারীসহ চার ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

আল নূর মসজিদ ছাড়াও শহরতলি লিনউডের মসজিদে হামলা চালানো হয়। তবে দ্বিতীয় মসজিদে হামলাকারী একই ব্যক্তি কি না, তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন জানিয়েছেন, হামলাকারী নিরাপত্তা নজরদারির তালিকায় ছিল না।

এক্সপ্রেস নামের একটি স্থানীয় গণমাধ্যমের অনলাইনে বলা হয়েছে, হামলাকারীকে শনাক্ত করা গেছে। ২৮ বছর বয়সী একজন শ্বেতাঙ্গ। তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছেন। দুই বছর ধরে তিনি এ হামলার পরিকল্পনা করছেন।

হামলাকারী জানিয়েছেন, ইউরোপের দেশগুলোতে বিদেশি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে তিনি এ হামলার পরিকল্পনা করেন।

ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/ওআর/এমআর